ইয়াকুব নবী ইমন : এখন হেমন্ত কাল চলছে। আসি আসি করছে শীত। দিনে সূর্যের খরতাপ আর সন্ধায় বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। রাত গড়িয়ে সকালে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পথঘাট। শিশির জমছে ভোরের প্রকৃতিতে। এ এক অপরূপ দৃশ্য, সোনালী আভালব্ধ বাংলা চির চেনা বৈচিত্র। এই সময়ে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে শীত একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। সূর্য ডোবার সাথে সাথে ঠান্ডা নামতে শুরু করে। সপÍাহ-দশ দিন আগেও যেখানে মানুষ ফ্যান চালিয়ে রাতে ঘুমাতে হতো সেখানে এখন কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।
কার্তিক আভাস দিচ্ছে কুয়াশার আবরনে । হিম-শীতল ঠান্ডা আর কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে কার্তিক প্রতি বছর আসে শীতের আগমনি বার্তা নিয়ে। কার্তিকের পরেই কাঙ্খিত অগ্রহায়ন। হেমন্তে তখন ভিন্ন রূপ। মাঠে মাঠে বাতাসে দোল খাবে সোনালী ধানের শীষ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া জানান, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নোয়াখালী অঞ্চলসহ পাশ^বর্তী এলাকায় দিনের তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমতে থাকবে। সেই সাথ নভেম্বরের শেষ এবং ডিসেম্বরের শুরু থেকেই পুরোধমে শীত পড়বে। নোয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন জানান, অতিরিক্ত শীত আর কুয়াশার কারণে অনেক সময় শীত কালীন চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি শীত মৌসুমে জমিতে লাগানো শাক-সবজির কাঙ্খিত ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন বিধান চন্দ্র সেনগুপ্ত জানান, আবহাওয়া হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শীত বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা বাড়ে। তাই এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের যতœ নিতে হবে। এদিকে গত কয়েক দিনে নোয়াখালীতে দিনে গরম আর রাতে শীত পড়ছে। কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাতে শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জ।
অপরদিকে বঙ্গপোসাগে সৃষ্ঠ লঘুচাপের কারণে গত দুই দিন এ অঞ্চলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ৪৮ ঘন্টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও সূর্য মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলছে। এতেই আবহাওয়া জানান দিচ্ছে শীত আসছে।