ইসি নিজেরাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে -মির্জা ফখরুল

0
454

বিএনপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে সাক্ষাতকার কে নে সেটা দলের নিজস্ব ব্যাপার। এটা নিয়ে কারো কথা বলার এখতিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

রোববার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের সময় বাইরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। এর আগে সকাল থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে আগ্রহীদের সাক্ষাৎকার নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে স্কাইপির মাধ্যমে মনোনয়ন বোর্ডে যুক্ত হন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা ও ইসি কথা বললে সে বিষয়ে মির্জা ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ইসি নিজেরাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। আমার দলের সাক্ষাৎকার কিভাবে নেব, এটা একান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। অন্যরা নাক না গলালেও চলবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে যেমন প্রস্তুতি দরকার, সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে, সজাগ থাকতে হবে। একতরফা নির্বাচনের জন্য যেন কেন্দ্র দখলে নিতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে গেছি। সেজন্য যে আনুষ্ঠানিকতা দরকার, তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করছি না এখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যে নির্বাচনের জন্য আমরা দীর্ঘকাল আন্দোলন-সংগ্রাম করছি, সেটি হচ্ছে না। সরকার একতরফা, একদলীয় নির্বাচন করার পায়তারা করছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে একটি ফলপ্রসূ ও অর্থবহ নির্বাচনের দাবি সব সময় তুলে ধরছি। এজন্য সংলাপেও গিয়েছি। কিন্তু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র এখনও তৈরি হয়নি। সংসদ ভেঙে দেয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। বিটিভি, বাসস ছাড়াও বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমগুলোও সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন প্রচার করছে। নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না। মির্জা ফখরুল বলেন, বিটিভিকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। তথাকথিত উন্নয়ন প্রচার বন্ধ রাখতে হবে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরও সমান সুযোগ দিতে হবে। এই বিষয়গুলো ইসিকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও গ্রেফতার বন্ধ হয়নি। বারবার বলার পরও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। দূর্ভাগ্য যে, এগুলোই সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আমরা চাই সুষ্ঠু অবস্থা তৈরি হোক। দলগুলো স্বস্তি ফিরে পাক। মামলা-মোকদ্দমা বন্ধ হোক। এ সময় মির্জা ফখরুল জানান, প্রথম দিনে রোববার রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে ১৫৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ৪১ আসনে ৩৬৮ জনের নেয়া হবে। বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত রয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − 2 =