Site icon Aparadh Bichitra

লালমনিরহাটে রাফি মেডিকেল সেন্টারের লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসির রমরমা ওষুধ বাণিজ্য

তন্ময় আহমেদ নয়ন:  ওষুধ প্রশাসনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাটে রাফি মেডিকেল সেন্টারের মেডিসিন কর্ণার  ফার্মেসি দিয়ে বসে পড়েছেন ওষুধ বিক্রির ব্যবসায়। উপজেলার প্রানকেন্দ্র মিশমোরে অবস্থিত এই রাফি মেডিকেল সেন্টারের  ঔষধের দোকান বা ফার্মেসী। ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৪ নম্বরের ১৩ নম্বর ধারার ‘ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ’ শিরোনামের ২ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোনো খুচরা বিক্রেতা বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের কোনো রেজিস্ট্রারের রেজিস্ট্রিভুক্ত ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধান ব্যতিরেকে কোনো ড্রাগ বিক্রি করতে পারবে না।’ কিন্তু এসকল বিধি বিধানকে তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মিশনমোরে অবস্থিত রাফি মেডিকেল সেন্টারের মেডিসিন কর্ণার চলছে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট ছাড়াই। অল্প পারিশ্রামিকে অদক্ষ লোক বসিয়ে বিক্রি করছে জটিল সব রোগের ওষুধ। ফলে মানহীন ভুল ওষুধ যেমন বিক্রি হয়, তেমনি এসব ওষুধ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন ক্রেতারা।
সাধারণত এ, বি, সি এই তিন ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট রয়েছে দেশে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা হলেন ‘এ’ ক্যাটাগরির, চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সধারীরা ‘বি’ ক্যাটাগরির আর তিন মাসের কোর্সধারীরা ‘সি’ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট। কিন্তু রাফি মেডিকেল সেন্টারের মেডিসিন কর্নারে বর্তমান দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি কোনো ক্যাটাগরিতেই পড়েন না। অপরাধ বিচিত্রা সরেজমিন দেখা যায়, রাফি মেডিকেল সেন্টারের  মেডিসিন কর্নার, ড্রাগ লাইসেন্সের শর্ত না মেনে অদক্ষ লোক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই ফার্মেসির বর্তমান দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রী স্বপন কুমার রায় নিজে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট নন । ওষুধের নামের আধ্যাক্ষর দেখে অনুমান করেও ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগ আছে এই ফার্মেসির বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল ওষুধও বিক্রি হয়ে যায়। তবে ক্রেতা শিক্ষিত ও সচেতন না হলে অবধারিতভাবে বিপদে পড়তে হয়। অভিযোগ রয়েছে, ফার্মেসী  সংলগ্ন রাফি মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারের চেম্বারে নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা রোগী দেখার সময় ডাক্তারের চারপাশে কেঁচোর মত কিলবিল করে। ডাক্তারদের নগদ অর্থসহ নানা উপঢৌকন দিয়ে প্রলুব্ধ করে ব্যবস্থাপত্রে নিম্নমানের ওষুধ লিখতে বাধ্য করে। এ ব্যাপারে রাফি মেডিকেল সেন্টার ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হারুন অর রশিদ বলেন আমার ফার্মেসির লাইসেন্স আছে তবে তা হয়তোবা ফার্মেসিতে ঝোলানো হয়নি।তবে আমরা প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি করি না। তিনি আরও বলেন যেসব ফার্মেসিতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় সেইসব ফার্মেসিতেই ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন হয়। এই বিষয়ে জেলার ঔষধ প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তিনি ফোন ধরেন নি।