রূপসা প্রতিনিধিঃ রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের রহিমনগর ঘাট থেকে কাস্টমঘাট পারানিতে ইজারাদার কর্তৃক মারপিটের শিকার হয়েছে এক যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল থেকে রহিমনগর ঘাট বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মৃত আলহাজ্ব মুজিবুর রহমানের পুত্র নুরুদ্দিন আল মাসুদ কামরান (২৭) কাস্টমঘাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ঘাটের ইজারাদার লিটন শিকদার বাবু’র নেতৃত্বে মিলন শিকদার ও রিপন শিকদার জনৈক স্কুল শিক্ষক শামিমকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। বিষয়টি কামরান প্রতিবাদ করলে লিটন শিকদারের নেতৃত্বে তাকে বেধড়ক মারপিট করে বাম পা পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়। বর্তমানে সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল ভোর থেকে বিক্ষিপ্ত এলাকাবাসী ঘাটের পারাপার বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরবর্তিতে বেলা ১২ টার দিকে নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল ও খুলনা মহানগরীর ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আ. সাত্তার খলিফা বিক্ষিপ্ত এলাকাবাসীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। তারপর সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাসে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন। মারপিটের ঘটনায় সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত মিলন শিকদারকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে রামনগর-রহিমনগর এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমঘাটে টোল আদায়ে ইজারাদার কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণ জনগণের সাথে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে। এমন কি মহিলাদেরকেও গায় হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না। বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের স্টাফ, কেএম মুহাম্মদ আলী জানান, সরকারী চাকুরিজীবী পরিচয় দেয়ার পরও আমাকে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। নন্দনপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী তাহেরা বেগম জানান, পারানি দেয়ার জন্য এক টাকা না থাকায় আমাকে গলাধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে ঘাট এলাকায় ইজারাদারদের নেতৃত্বে গাজা ও ইয়াবা ব্যবসা চলে আসছে বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।