বাজারের নাইডগার্ডকে বেঁধে রৌমারীর সায়দাবাদ বাজারে ১৬টি দোকানে ডাকাতি আটক-৪

0
607

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: সায়দাবাদ বাজারের নাইডগার্ডকে বেঁধে রেখে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। রবিবার ভোররাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সায়দাবাদ বাজারে এঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় পুলিশ ২ নাইটগার্ডসহ ৪জনকে আটক করে রৌমারী থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ও স্থানীরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যার পর বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ দোকানঘর বন্ধ করে বাসায় চলে যায়।

রাতের অন্ধকারে নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে টিনের বেড়া ও তালা ভেঙ্গে ১৬টি দোকানের মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। সব দোকানের ক্ষয়ক্ষতি প্রায় অর্ধকোটি টাকা। সায়দাবাদ বাজার দোকান মালিকরা হচ্ছে ধনারচর গ্রামের আইয়ব আলীর ছেলে মামুন (মোবাইল সুরুম), ইউনুস আলী (গালামারের) একই গ্রামের রওশন আলীর ছেলে শাহজাহান আলী (হার্ডওয়ার), সোহরাহাব আলী (হার্ডওয়ার দোকান), আলাল মিয়া (গালামাল দোকান), কোমরভাঙ্গী গ্রামের রহিম কারী (টিনের দোকান), রাসেল মিয়া (গালামালের দোকান) বাবু মিয়া (সারের দোকান) রহম আলী (গালামালের দোকান), আমিনুল ইসলা (আরএফএল), জুলফিকার আলী (কাপড়ের দোকান), বক্তজামাল (গালামালের দোকান), নয়াপাড়া গ্রামের পলাশ (ফ্লেক্্িররোড), সায়দাবাদ গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (গুদামঘর), নজরুল ইসলাম (গালামালের দোকান) রফিকুল ইসলাম (কিটনাশক দোকান)। এঘটনায় সায়দাবাদ গ্রামের রহম আলীর ছেলে সায়দাবাদ বাজারের নাইডগার্ড আহালু ও ধনারচর টাংরাপাড়া গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়াকে সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হাট ইজারাদার বানিজ আলী বলেন, নাইডগার্ডদের বনিক সমিতির পক্ষ েেথকে রাখা হয়েছে এবং তারাই ভালো জানেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপঙ্কর রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ও পুলিশকে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, এ রকম ডাকাতি ঘটনা কোখনও দেখি নাই। এব্যাপারে রৌমারী সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শহীদ সোরয়ার্দী বলেন, এটা একটা দুধর্ষ চুরি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × three =