Site icon Aparadh Bichitra

মুঞ্জুল হকের অপকর্ম প্রকাশ করায় মামলা করার হুমকি সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

হাবিব সরকার স্বাধীন
বিগত কয়েকটি রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে কড়াইল বস্তির ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মঞ্জুর হকে বিভিন্ন অপকর্মের কু কীর্তিকলাপ। কড়াইল বস্তিতে ভবনের পর উঠছে ভবন, বাড়ছে শুধুই দেয়াল।

 

ক্রামই সেই দেয়ালে বন্দি হয়ে পড়েছেন ১৯ নং ওয়াড রাজধানীবাসী । ইট-কাঠের গোধূলির নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে বর্তমান প্রকৃতি। যান্ত্রিক তার ফাঁদে আটকে পড়া এই নগরবাসী হাঁপিয়ে ওঠা জীবনে এক দন্ড শান্তির প্রলেব বুলিয়ে দেয় সবুজ বনানী। কাশফুল টল মলে জল খোলা আকাশ ও বিশুদ্ধ বাতাস মাখা, বাড়ছে বিভিন্ন অপরাধীদের চক্রর দূরত্ কড়াইল বস্তিতে কিশোর গ্যাং, গ্যাস চুরির গ্যাং, বিদ্যুৎ চুরির জ্ঞান জুয়ার বোর্ড, ফিটিং বাণিজ্য, ইত্যাদি পার্টিসহ বিভিন্ন সংবদ্ধ চোখের হাতে নাজেহাল হওয়া। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদক, দেহ ব্যবসা, ও ব্ল্যাকলমেল এর কারণ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে মুখোশ ধারী একটি চক্র তবুও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা দেখেও না দেখার ভান করে কিছুই করছে না। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মনজুরুল হকের অপকর্ম প্রকাশ করা হলেও পত্রিকার পাতা চলে যাচ্ছে হিমঘরে। প্রশাসনের দেখেও না দেখার তালবাহানা চোখে যেন পড়ছে সাওনি। একদিকে সরকারের গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানির কোটি কোটি টাকা রাজত্ব ফাঁকি অন্যদিকে চলছে উন্নয়ন কমিটির নামের মানুষের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায় তোলার হাজারো অভিযোগ । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কমিটি করে এই চক্রটি নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন গণ্ডমূর্খ সবাইকে এক পাল্লায় মেপে নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন কিছুদিন আগে তার নামে সংবাদ প্রকাশ করা হলে সাংবাদিকের নামে বনানী থানায় মিথ্যে জিডির অভিযোগ করেন। জিডি করে প্রতিবেদককে রাত অনুমান ১টা ৫ মিনিটে সমঝোতার প্রস্তাব দেন নয়তো মিথ্যে মামলা ওরে জেলের ভাত খাওয়াবে বলে হুমকি দেন এভাবেই বিভিন্নভাবে মানুষকে হুমকি-ধামকি দিয়ে নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত বিদ্যুৎ গ্যাস চুরির মহানায়ক মঞ্জু হক কেউ মাসিক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক অমানবিক জুলুম নির্যাতন। তার আছে বিশাল একটি সিন্ডিকেট যদি কোন ব্যক্তি উন্নয়ন কমিটিতে মাসিক চাঁদা দিতে অস্বীকার করে তাহলে বিভিন্ন কায়দায় বিপদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
কড়াইল কুমিল্লা পট্টির গ্যাস মুমিনের সহযোগী ছিল বাঙালি ব্যবসায়ী মনজুরুল হক। কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তার ব্যবসা অর্ধেক হাতিয়ে নেয় মনজুরুল হক। মনজুরুল হক খুব ঠান্ডা মাথার মানুষ যখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন সেই দলের সাথে জড়িয়ে যায়। কারণ একটাই তার ব্যবসায় যেন কোন ঝামেলা না হয়। অপরাধ বিচিত্রার দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে তার নামে বেনামে বিভিন্ন স্থানে রয়েছেন অনেক সম্পত্তি গাজীপুর রয়েছেন ৬ কাঠা জমি, কুমিল্লা দেবিদ্বার রয়েছেন চার কাঠা জমি, শ্বশুরবাড়ি রয়েছেন সুদে ৭৫ লক্ষ টাকা, দেশের বাড়িতে স্ত্রীর নামে তিনটি দোকান বরাদ্দ, এবং মাওনা রোডে ৪ টি প্রাইভেট কার, কাওরান বাজারে একটি বিট, কড়াইল বস্তিতে বর্তমান ৮৫ টি রুম, কড়াইল বস্তি বিভিন্ন স্থান ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বাঙালি ব্যবসায়ী মন্দির হকের ৯ জন ম্যানেজার প্রতি মাসে কড়াইল বস্তি থেকে গ্যাস ও বিদ্যুতের মোটা অংকের টাকা মাসিক চলে আসে মুনজুরুল হকের পকেট। আর কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার পকেট। যখনই পুলিশের অভিযান চলে কিভাবে খবর পেয়ে যায় তা শুধু তিনিই জানেন। জামাত-শিবিরের দল তিনি বর্তমান যুবলীগের ইউনিটের সভাপতি বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। সরকারি গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিষয় নিয়ে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মঞ্জুর হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাকে প্রশ্ন না করে থানায় গিয়ে কথা বলুন। তাহারা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারে। এ বিষয়ে কিছু বলতে তিনি নারাজ তখন অপরাধ বিচিত্রা প্রতিবেদক ওই এলাকার বিট ইনচার্জ আবু তাহের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা কোন টাকা নেই না। সরজমিনে গিয়ে দেখতে পায় সরকারি জমি থেকে শুরু করে সবকিছুই যেন তার কাছে মামা বাড়ির আম দুই খাই খাই। হাই কোর্টের অনুমোদন না থাকার সত্বেও বিভিন্ন ঘর বাড়ির দোতলা করে বিক্রি করছেন মনজুর হক। বউবাজার একটি মসজিদে বসে সে তার কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে সাংবাদিক কে মামলা করবে বলে হুমকি দিয়ে থাকেন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মঞ্জুর হক। কার দাপটে কিসের সাহসে সরকারি অবৈধ সম্পদ দখল করে সাংবাদিককে মামলা করার হুমকি দিয়ে থাকেন তা যেন অজানা। অবশেষে সাংবাদিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বনানী থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই জিডি সুষ্ঠু তদন্ত আজও খুঁজে পেলো না। সাংবাদিক হাবিব সরকারের স্বাধীন এ বিষয়ে বারবার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু তাহের কে জানালে তিনি বিষয়টি দেখছে বলে এড়িয়ে যাচ্ছে।