দশমিনায়, কমোরেড মরহুম আবদুস সাত্তার খানের ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

0
617
দশমিনা প্রতিনিধি: আজ ৭ নভেম্বার পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় দক্ষিণ বাংলার প্রান পুরুষ, কৃষক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক,বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ কিষাণী সভার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,কমোরেড আবদুস সাত্তার খানের ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশ,বাংলাদেশ কিষাণী সভাসহ ৮টি সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচীর আয়োজন করেন। যার অংশ হিসেবে দশমিনায় মানিক মিয়া চত্তরে পটুয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি আবদুল মতলেব মৃধার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম। বিশেষ অতিথিরা হলেন, ডাঃ সামছুন্নাহার খান ডলি,মোঃ জায়েদ ইকবাল খান, আবদুস সাত্তার হাওলাদার,  কাজী আনিছুর রহমান, প্রান কৃঞ্চ দাস, পিয়ারা বেগম প্রমূখ।  এর পূর্বে সকালে মরহুমের সমাধিতে  পুষ্প স্তবক অর্পন,দুপুরে মরহুমের নিজ বাড়ীতে সাধারন খানা পরিবেশন করা হয়।
কে এই কমোরেড সাত্তার খান?
১৯৯৬ সালের ২৭শে অক্টোবর ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বিরোধী ১৫ হাজার কিষাণ-কিষাণী, ছাত্র যুবক সমাবেশে বক্তব্য চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঞ্চে ঢলে পড়েন এই নেতা। সাথে সাথে ধানমন্ডি আল-জেবেল-ই নূর ক্লিনিকে ভর্তি করেন। ৭ই নভেম্বর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ কৃষক আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ ও প্রবীণ কৃষক নেতা কমরেড আবদুস সাত্তার খান শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ১৯২৫ সালে দক্ষিণ বাংলার উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর দশমিনা থানার দশমিনা নামক অজপাড়াগাঁয়ের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।  শৈশবেই তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। পিতার অবর্তমানে তিনি চাচার আদর স্নেহে লালিত-পালিত হন।
তিনি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট শিক্ষিত ছিলেন না। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থাও ছিল অনেক। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় যে শিক্ষা দেয়া হয় তা-যে শোষিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির শিক্ষা দেয় না তা ছিল তাঁর কাছে আয়নার মত পরিস্কার।
তিনি যখন জন্ম গ্রহণ করেন তখন সামস্ত ভূ-স্বামীদের অত্যাচারে এদেশের কৃষককূল ছিল দিশেহারা। বৃটিশ মদদপুষ্ট জমিদার-তালুকদারের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস তখন কারো ছিল না। নিরীহ কৃষকদের উপর অত্যাচার তাঁর কোমল শৈশব মনকে ব্যথিত করত। তাই একদিন তিনি তাঁর জনৈক স্কুল শিক্ষকের হাত ধরে তৎকালীন গোপন পার্টি-অবিভক্ত ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তাঁকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করেছিল। তাই তিনি তাঁর জীবনের শুরুর দিকেই কৃষকের উপর সামস্ত ভূস্বামীদের অন্যায়ভাবে পরিচালিত অত্যাচার-নির্যাতনের তীব্র বিরোধিতা করতেন। কখনও কখনও তিনি অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ লড়াই করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে প্রতিপক্ষের তরফ হতে অসংখ্য মিথ্যা মামলা মোকাবেলা করতে হয়েছিল। বৃটিশ সৃষ্ট জমিদার-মহাজন-দালাল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যখন ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে যখন ভারত ও পাকিস্তান নামে দু’টো রাষ্ট্র সৃষ্টি হয় তখন তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। পঞ্চাশের দশকে তিনি পার্টির কাজের পাশাপাশি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন তার নিজ এলাকায় কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য। পরে তা জাতীয় পর্যায়ে বিস্তৃত করার জন্য আত্মনিয়োগ করেন। ষাটের দশকে তিনি পটুয়াখালীতে খাজনা কমানোর সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি দলীয় চিন্তার বাইরে অবস্থান নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তৎকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরূদ্ধে লড়াই পরিচালনার জন্য পটুয়াখালীতে যে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়েছিল তিনি তাঁর অন্যতম সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সাহসী ও সংগ্রামী ভূমিকা এবং তাঁর তীক্ষ্ম বুদ্ধি ও দূরদর্শিতা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং অবিস্মরণীয়। সে সময় তিনি তাঁর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জাতীয় বুর্জোয়া নেতৃত্বকে সংগ্রাম কমিটিতে টেনে আনতে এবং লড়াইয়ের মাঠে শামিল করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-র সদস্যপদ লাভ করেন।  ১৯৭৬ সালে জেলে থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন বাম মহলে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে তিনি বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন গঠন করেন।
১৯৭৮ সালে তিনি কৃষক আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য পুনরায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্টনের দাবীতে দশমিনা হতে পটুয়াখালী দশ হাজার কিষাণ-কিষাণীর এক লংমার্চ করেন। ১৯৮০ সালে তাঁর নেতৃত্বে দশমিনা থানার ৩টি চর যথাক্রমে চরহাদী, চরবাশবাড়ীয়া ও চরবোরহান ভূমিহীনরা দখল করে। তৎকালীন জিয়াউর রহমান সরকার তাঁর পুলিশ বাহিনী দিয়ে ভূমিহীনদের চর হতে উচ্ছেদ করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করে। ১৯৮২ সালে তিনি হাইকোর্টে রীট করে জেল হতে বেরিয়ে খাসজমি আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পুনরায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৮৩ সালে খাসজমির অবৈধ বন্দোবস্ত তালিকা বাতিল এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের স্বার্থে খাসজমির বন্টন কমিটি গঠনের দাবীতে তিনি ৮৩ ঘন্টা অনশন পালন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবীতে অবিরাম ধর্মঘট অনশন পালন করেন। এই অনশন ধর্মঘট ৮৭ ঘন্টা স্থায়ী হয়। খাসজমি বন্টন ও বন্দোবস্ত নিয়ে রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীরা নানান টালবাহানার আশ্রয় নিলে তিনি ১৯৯১ সালে পুনরায় আমরণ অনশনের কর্মসূচী ঘোষণা দেন। এই অনশন ৮ দিনব্যাপী ১৮০ ঘন্টা অবস্থান করে। তাঁর এই অনশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিষাণী সভা প্রায় ১০ হাজার সদস্যা দশমিনা ইউ,এন.ও অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। ১৯৮৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি সেমিনার কক্ষে ‘কৃষক ও তাঁর সমস্যা, খোলা আলোচনা’ শীর্ষক সেমিনার করেন। ১৯৮৯ সালে ১৪ই মার্চ তিনি ৭দফা দাবীর ভিত্তিতে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার কিষাণ-কিষাণী নিয়ে বরিশাল হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে লংমার্চ করেন। তাঁর নেতৃত্বে এই লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা অদম্য সাহস ও মনোবল নিয়ে একটানা ৬ দিন হেঁটে ১৮০ কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করে ঢাকা জাতীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে শেষ করে এবং ১৯শে মার্চ শহীদ মিনারে রাত্রি যাপনের পর ২০শে মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করে। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের আন্দোলনের ইতিহাসে এই লংমার্চ একটি মাইলফলক।
১৯৯০ সালের ২৭শে জানুয়ারি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ কিষাণী সভা জন্মলাভ করে। ১৯৯১ সালের ২৭শে ডিসেম্বর ১৫ হাজার লোকের এক বিশাল সমাবেশে দশমিনা থানার ৪টি চরের খাসজমি দখলের ঘোষণা দিলে ১৯৯২ সালে ১লা জানুয়ারি হাজার হাজার ভূমিহীন নারী-পুরুষ চরহাদী, চরবোরহান, চরবাঁশবাড়ীয়া, চরশাহজালালে অবস্থান নেয়। ৪টি চর দখল করেই তিনি তাঁর আন্দোলনকে থামিয়ে রাখেননি। নতুন করে খাসজমি দখল ও দখল টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনে মনোযোগ দেন। তাঁর অসাধারণ চিন্তাশক্তি ও সঠিক সময় ত্বড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকার কারণে পরবর্তীতে ১৯৯৫-৯৬ সালে ভোলা ও পটুয়াখালী জেলায় আরো অনেকগুলো চর দখল করা হয়। ভূমি সংক্রান্ত তাঁর গভীর জ্ঞানের কারণে এ আন্দোলন দিন দিন বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।সাতক্ষীরা জেলায় ৯টি চিংড়ি ঘের ভূমিহীনদের দখলে চলে যায়। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর, রংপুর ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠনের ভূমিহীন সদস্যরা খাসজমি দখল করে বসবাস করছে। ১৯৯২ সালের ২৫শে অক্টোবর তাঁর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি মিলনায়তনে বিশ্বব্যাংকের বন্যা কার্যক্রম পরিকল্পনা বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালের ১১ ও ১২ই এপ্রিল তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে গ্রামের ১৬ হাজার কিষাণীদের এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালের গোড়ার দিকে তাঁর উদ্যোগে দেশের আদিবাসী সমিতি গঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে ২৬শে নভেম্বর তাঁর বিশেষ উদ্যোগে শহরের ভাসমান শ্রমিকদের নিয়ে আরো দু’টো সংগঠন যথাক্রমে বাংলাদেশ ভাসমান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ভাসমান নারী শ্রমিক ইউনিয়ন গঠিত হয়। গ্রামের কৃষক এবং গ্রাম হতে উচ্ছেদ হয়ে আসা শহরের ভাসমান নারী-পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সংগ্রামী ঐক্য গড়ে উঠতে পারে বলে তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন।
খাসজমি আন্দোলনকে জাতীয় রূপ দেয়া এবং কৃষক আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে ঢাকায় জাতীয় সমাবেশের ডাক দেন। এই সমাবেশে হাজার হাজার কিষাণ-কিষাণী, আদিবাসী নারী-পুরুষ, শহরের ভাসমান নারী-পুরুষ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও ছাত্র কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেছিল। এই সমাবেশে বক্তৃতাদানকালে তিনি মারাত্মকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৯৯৬ সালের ২৭শে অক্টোবর সাত্তার খানের নেতৃত্বে ফ্লাড অ্যাকশন প্লান বাতিলের দাবীতে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিশাল গণজমায়েত হয়। এই গণজমায়েতেই কমরেড আবদুস সাত্তার খান তাঁর জীবনের শেষ বক্তৃতা দেন। এই গণজমায়েতের মাত্র ১০ দিন পর তাঁর মহাপ্রায়ান ঘটে।
কমরেড আবদুস সাত্তার খানের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ৩ বার ইউরোপ সফর করেন। ১৯৮৬ সারে তিনি প্রথম ফ্রান্সে যান। ফ্রান্সের কৃষক ও কৃষকদের জীবন সম্পর্কে তিনি সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। তিনি ফ্রান্সে বেশ কয়েকটি সেমিনারেও বক্তব্য রেখেছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি নেদারল্যান্ডে খাসজমি সংক্রান্ত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এই সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা গরীব না আমাদের গরীব বানিয়ে রাখা হয়েছে।’ ১৯৯৩ সালে তিনি পুনরায় ফ্রান্সে যান। ফ্রান্সে তিনি ফ্লাড অ্যাকশন প্লানের উপর অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় এক সাক্ষাতকারে তিনি বিদেশী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘তোমাদের সাহায্য আমাদের দরকার নাই কারণ তোমাদের ঐ সাহায্য আমাদের কৃষকের কাছে পৌঁছে না। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের পকেট ভারী হয় মাত্র।’ আবদুস সাত্তার খান তাঁর সংগ্রামী জীবনে কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষকে উজ্জীবিত ও তাদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি এবং পার্টি গঠন প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর এই লেখাগুলো তাঁরই উদ্যোগে প্রকাশিত সংগঠনের মুখপত্র কিষাণ-কিষাণী পত্রিকায় লিপিবদ্ধ আছে।
আবদুস সাত্তার খান তাঁর জীবদ্দশায় পেশাজীবী সংগঠন সমূহের একটি স্বাধীন ফ্রন্ট গঠন করার স্বপ্ন দেখতেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৭টি গণ-সংগঠন একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনৈতিক জোট হিসেবে দীর্ঘদিন অনুশীলন করে আসছে। এই ৭টি সংগঠন হলোঃ বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ কিষাণী সভা, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতি, বাংলাদেশ ভাসমান শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ভাসমান নারী শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ গ্রামীণ বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট, গণছায়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
আবদুস সাত্তার খান তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি কিছু সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর নিজ এলাকা দশমিনায় প্রথম উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। দশমিনা কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
কমরেড সাত্তার খান তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যে অবদান রেখে গেছন তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পাথেয় হয় থাকবে।
Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

six + nineteen =