চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় সাংবাদিক আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

5
935

বিবি মরিয়মঃ

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও থানায় আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ওসি নেয়ামত উল্যাহর বিরুদ্ধে।

 

রবিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট অরগানাইজেশনস এর পক্ষ থেকে মানববন্ধন করে এই অভিযোগ করেন সংগঠনটি দফতর সম্পাদক মো. শামসুল আলম। মানববন্ধনে তিনি বলেন, সিটিজি ক্রাইম টিভির দুজন পেশাদার সাংবাদিক ও তাদের গাড়িচালককে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হচ্ছে। ওই বানোয়াট মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও দুজন সাংবাদিককে। গত নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখ চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ধোরলা কালাইয়ার হাট শিকদার বাড়ির জুবায়েদ মোস্তফা চুমকি নামের এক গৃহবধূ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। শাশুড়িকে পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলায় ওই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। থানার ওসি নেয়ামত উল্যাহ হত্যাকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে, মামলা না নিয়ে বাদীকে অপমান করে থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে নভেম্বরের ২৭ তারিখ চট্টগ্রামের সিটিজি ক্রাইম টিভি থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিটিজি ক্রাইম টিভির উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সাগর ও নিউজ এডিটর রতন বড়ুয়া। থানায় যাওয়ার পর ওসি নেয়ামত উল্যাহ তাদের প্রতি রূঢ় আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা একটি সচল ভিডিও ক্যামেরা, একটি সচল স্টিল ক্যামেরা, ব্যবহৃত চারটি সেলফোন, নগদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও মো. সাইদুল ইসলাম সাগর এর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেওয়া হয়। আরও অভিযোগ, এরপর সম্পূর্ণ কাল্পনিক অভিযোগ এনে তাদের থানা হাজতে আটকে রাখে পুলিশ এবং সেই সঙ্গে তাদের গাড়ি চালককে আটক করা হয়। থানা হাজতে আটক থাকা অবস্থায় ওসি নিজে ও তার নির্দেশে এসআই মো. কামাল হোসেন, এসআই এ টি এম আমিনুল ইসলাম, এসআই বাসু দেবনাথ, এসআই কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই আরিফুল ইসলাম ও বহিরাগত কথিত দালাল শেখ ফুরকান তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ৩৮৫/৪১৯/১০৯ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় সিটিজি ক্রাইম টিভি সম্পাদক আলী আজগর মানিক ও বিভাগীয় প্রধান মো. রাশেদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। এই ঘটনায় সিটিজি ক্রাইম টিভি উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সাগর, নিউজ এডিটর রতন বডুয়া ও তাদের গাড়িচালক বর্তমানে কারা নির্যাতন ভোগ করছে। একই সঙ্গে আসামি আলী আজগর মানিক ও রাশেদুল ইসলাম পলাতক অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মানববন্ধন থেকে পটিয়া থানার ওসি নেয়ামত উল্যাহর বিচার ও কারাগারে থাকা সাংবাদিকের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × 3 =