রুপসার মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহ

0
783
রুপসা প্রতিনিধি: আজ ১০ই ডিসেম্বর বাংলার দুই সূর্য সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহ’র ৪৭ তম শাহাদৎ বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এইদিনে পাকিস্থানিদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে খুলনা শিপইয়ার্ডের সামনে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেন বাংলার এই বীর সন্তানেরা ।
এরপর খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার পূর্বপাশের বাঘমারা গ্রামে নদীর পাশে তাদের দাফন করা হয়। যেটি এখন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লার সমাধিসৌধ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, স্বাধীনতার পর থেকে অরক্ষিত ছিলো মহান দুই ব্যক্তির কবরস্থান। সেখানে প্রতিদিন রাতে বসতো গাঁজার আসর। বিষয়টি নিয়ে রুপসা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ভাইয়েরা লেখালেখি করলে সরকার এটি দেখা শোনার দায়ীত্ব নেয়। যার কারনে এখন স্থানটি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। মাজার কমপ্লেক্সটির সুরক্ষা দিতে পশ্চিমে নদীর পারে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালে মাজারটির পূর্বপাশে রাস্তায় লোহার বেড়া দিয়ে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে।  এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে নৌবাহিনীর প্রথম জাহাজ (পলাশ) নিয়ে মাতৃভূমি মুক্ত করতে খুলনার রুপসা ফেরিঘাটের নিকটে এলে বিমান বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হন। বিমানের গোলা বর্ষণে নিজ জাহাজ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া সত্বেও জীবনের ঝঁকি নিয়ে তিনি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত  নিজ দায়িত্ব পালন করেন। এই বীর ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাচড়া গ্রামে (বর্তমান শহীদ রুহুল আমিন নগর) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আজহার পাটোয়ারী ও মাতা জুলেখা খাতুন। অপরদিকে বীরবিক্রম মহিবুল্লাহও একই দিনে শহীদ হন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে প্রতিবারের মত এবারও নৌবাহিনীর পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও রূপসা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 3 =