নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের পটিয়ার কথিত সাংবাদিক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বিকাশের অপকর্মের বোঝা দিন দিন সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে এমনটাই বলছিলেন পঞ্চাশ বছর বয়সী পটিয়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন। তিনি জানান কিভাবে এলাকার কলা বিক্রেতা বিকাশ রাতারাতি টাকার কুমির হয়ে গেলো। স্কুলের গন্ডি পেরুতে না পারা বিকাশ প্রথমে পটিয়া বাস স্ট্যান্ডে মজুরীর কাজ করতো।
সেখানে এক কলা ব্যবসায়ীর সাথে পরিচয় হলে সে কলা ব্যবসা শুরু করে।তারপর কলার টাকা মেরে দিয়ে সে চলে যায় টেকনাফ। দীর্ঘ দুই বছর টেকনাফ থাকাকালীন সময়ে সে টাকার কুমির বনে যায়। এরপর শুনেছি ইয়াবা নিয়ে ধরা খেয়ে ২ মাস জেলও খেটেছে। তারপর চলে আসে আবার পটিয়ায়। এখানে এসে একটি ডাক্তার দোকান দেয় এবং দোকানের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা চলমান রাখে।
দোকানে একজন স্থানীয় সাংবাদিকের সাথে তার ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়। সে সুবাধে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে টাকার বিনিময়ে ২ টি জাতীয় পত্রিকায় কাজ পায়।আর তারপর থেকে শুরু হয় লাগামহীনভাবে তার প্রতারণার,পতিতা ব্যবসা ও ইয়াবা ব্যবসা। মোহাম্মদ ইশতিয়াক উদ্দিন নামে পটিয়া সরকারি কলেজের এক ছাত্র জানায়, কথিত নামধারী সাংবাদিক বিকাশ পটিয়া থানা পুলিশের যোগসাজশে অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে ও গ্রেপ্তার বাণিজ্যের মাধ্যমে অনেক টাকার মালিক হয়েছে।শুধু তাই নয় বিকাশ এই কলেজের অনেক ছেলেমেয়ের কাছে ইয়াবা সরবরাহের পাশাপাশি অনেক মেয়েকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ওসি নেয়ামত এবং ওসি তদন্ত রেজাউল করিমের রুমে নিয়ে দেহভোগ করে বলেও জানায় এ ছাত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পটিয়া থানার একজন এস আই জানায়, বিকাশ চৌধুরী সাংবাদিক সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে এ থানার ওসি নেয়ামত উল্ল্যাহ ও তদন্ত অফিসার রেজাউল করিম মজুমদারের দালালি করে।সে রেজাউল করিমের মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আর ওসি নেয়ামত উল্লাহসহ ভাগাভাগি করে লাভের টাকা নেয়।আর এ তিনজন মিলে থানায় প্রায় সময় মেয়ের আড্ডা বসায়। এদিকে ওসি নেয়ামত, ওসি রেজাউল করিম ও বিকাশের তত্ত্বাবধানে পটিয়া হাসপাতালের পূর্বদিকে ওয়ালের পাশে পরিত্যক্ত একটি সরকারি কোয়াটারে পতিতাদের নিয়ে রমরমা দেহব্যবসা চলছে বলেও অভিযোগ করেছে এলাকার স্থানীয় জনগন। এলাকাবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন কথিত সাংবাদিক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বিকাশ চৌধুরী,ওসি নেয়ামত ও ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিমের খুঁটির জোর কোথায়?