বিশেষ সংবাদদাতা ঃ রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, জামাত বর্তমানে বিএনপির মার্কা নিয়ে ভোট চাইতে এসেছে এরা বারে বারে রূপ পাল্টায়। আওয়ামীলীগ কোনদিন কারো নিকট ধার করা মার্কা নিয়ে মাঠে আসে না। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেছে বর্তমানেও নৌকা নিয়ে মাঠে এসেছে। আর ধর্মব্যবসায়ীরা অতিতে ইসলামের নাম ব্যবহার করে নির্বাচিত হয়েছে।
ধর্মের জন্য অনেক কিছু করবে বলে অথচ নির্বাচিত হয়ে ইসলামের জন্য মসজিদ মদ্রাসার জন্য কিছুই করেনি। সারা দেশে এদের কোথাও কোন অবস্থান নেই। এরা বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ। এরা ধর্ম ব্যবসায়ী এরা সুযোগ সন্ধ্যানী তাই তাদের যে ভাবে দেশবাসী প্রত্যাখান করেছে চৌদ্দগ্রাম থেকেও আপনারা প্রত্যাখান করবেন।
মন্ত্রী ১৫ ডিসেম্বর শনিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, আমার সাথে যার নির্বাচিত করেছেন আমি নির্বাচিত হয়ে কাউকে ভুলিনা। আমার সাথে যারা নির্বাচনে আসেন তারা একজন নিজেকে জমিদারের ছেলে অন্যজন পীরের ছেলে পরিচয় দেয়। তারা নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষকে ভুলে যায়। আমি একজন কৃষকের ছেলে এটাই আমার বড় পরিচয়। তাই বলি কৃষকের ছেলে এমপি হলে চৌদ্দগ্রামের মানুষকে ভুলেনা। আমি অতিতেও আপনাদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আপনাদের বিপদে আপদে পাশে ছিলাম। চৌদ্দগ্রামকে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে কুমিল্লাতে একটি উন্নত উপজেলায় পরিণত করার চেষ্টা করেছি। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম আছি এবং আজিবন থাকবো।
মন্ত্রী বলেন, এদের আমলে চৌদ্দগ্রামে কোন নেতা কর্মী তাদের পিতা মাতার সাথে দেখা করতে আসতে পারতো না। মৃত মায়ের জানাযার নামাজ পড়তে আসতে পারেনি। সেই সন্ত্রাসীদের চৌদ্দগ্রাম বাসী বিতাড়িত করে একটি আধুনিক চৌদ্দগ্রাম হিসেবে রূপান্তরিত করেছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর চৌদ্দগ্রামে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা চৌদ্দগ্রামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। মন্ত্রী আরো বলেন, চৌদ্দগ্রামে ইতোপূর্বে যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে বেঈমানী করেছে। আমি কৃষকের ছেলে আপনাদের ভোটে বার বার নির্বাচিত হয়েছি তারপর সংসদের হুইপ হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি কোনদিন আপনাদের ভুলিনি। আপনাদের পাশে ছিলাম আজিবন থাকবো।
তাই আগামী ৩০ তারিখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চাওয়ার জন্য আমি আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি এবং আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি গ্রাম হবে শহর।নির্বাচন এলে জামাত কিছু ক্যাডার বাহিনী ভাড়া করে এনে মেহমান বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ঘরে আশ্রয় দিয়ে থাকে। তাই এসব মেহমান নামের ক্যাডার কারো বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিলে কিংবা জায়গা দিলে প্রশাসনের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসান, কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক আহাম্মেদ মিয়াজী, কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য কামাল উদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, এডভোকেট ড. আব্দুল মান্নান, উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক ও শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় উপ-কমিটির সদস্য ইসহাক খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কামরুল হাসান মুরাদ, কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নাল আবেদিন রাসেল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম,চিওড়া ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক, কনকাপৈত ইউপি চেয়ারম্যান জাপর ইকবালচিওড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জসিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতাবে খন্দকার লিটন প্রমূখ।