নামাজ আদায় করতে মসজিদেও যেতে পারছি না: গোলাম মাওলা রনি

0
587

অবি ডেস্কঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে পটুয়াখালী-৩ আসনে জাতীয় ঐকফ্রন্ট্র প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে। এ মামলার পর থেকে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না বলে অভিযোগ রনির। এমনকি তিনি নামাজ আদায় করতে বাড়ির পাশের মসজিদেও যেতে পারছেন না। গোলাম মাওলা রনির অভিযোগ, গত শুক্রবার তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা মামলা করার পর থেকেই মূলত বাইরে বের হতে পারছেন না। মসজিদে নামাজ আদায় করতেও পারছে না।

 

নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না অভিযোগ করে রনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনের হুমকি-ধমকিতে আমার সঙ্গে দেখা করতে নেতা-কর্মীরা বাসায় আসতে পারছেন না বরং তারা এদিক সেদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকা ছেড়ে তাদের চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। কেন্দ্র কমিটি ও এজেন্ট ঠিক করতে পারছেন না। তিনি বলেন, গত তিন দিন ধরে আমার বাসার চারদিক ঘিরে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা পালা করে ঘুরাঘুরি করছে।তারা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করছে। এমতাবস্থায় বাসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কিত দিন কাটাচ্ছি। এর আগে গতকাল রনি অভিযোগ করে বলেন, তিনি অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছেন। এভাবে অবরুদ্ধ থাকার চেয়ে গ্রেফতার হওয়াই ভালো।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) মামলা হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতার সঙ্গে রনির ‘থানা ঘেরাওয়ের’ নির্দেশনার একটি টেলিসংলাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার সূত্র ধরে এ মামলা হয়েছে। রনি ছাড়াও পাঁচজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনির প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী মাসুদ।

রনি ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহজাহান খান, চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু খান, রনির ভাই সরোয়ার হোসেন, শ্যালক মকবুল হোসেন ও শাহ আলম সানু। গোলাম মাওলা রনি ২০০৮ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি এ আসনে নৌকার টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপি তাকে এ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর গলাচিপা সদরে প্রচারের সময় তার স্ত্রী কামরুন্নাহার রুনুর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেন রনি। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন তিনি।

ঘটনার দুদিন পর ইউটিউবে রনির একটি কথোপকথনের অডিও ছড়িয়ে পড়ে। গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. শাহজাহান খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন গোলাম মাওলা রনি। এতে তিনি বলেন, ‘তোমরা আগে গাড়িটা নিয়ে থানায় যাও। থানায় গিয়ে এ সুযোগে প্রার্থীসহ সবার নামে মামলা দিয়ে দাও। আমি ওপরে প্রেসার ক্রিয়েট (চাপ সৃষ্টি) করছি। তোমরা সব নেতা থানা ঘেরাও করো। ওখানে বসে তোমার ভাবিকে বাদী করো…’। এই কথোপকথন ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে গলাচিপা টিঅ্যান্ডটি সড়কে গোলাম মাওলা রনির স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা আত্মঘাতী ঘটনা ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। মোবাইলে তার কথোপকথন ফেসবুকে ভাইরাল হলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়, যা আসন্ন নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × two =