Site icon Aparadh Bichitra

নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে সহিংসতা

একাদশ সংসদীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে দেশব্যাপি সহিংসতার ঘটনা ততই বাড়ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যতই বলছেন নির্বাচনে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটছে না ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে ততই দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমাসীন ও বিরোধী দলের সর্মকদের মধ্যে উত্তেজনা এমনকি হতাহতের মত ঘটনা ঘটছে। এর ফলে একে অপরের ওপর দোষারোপের কালচার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তেব্যর সাথে বাস্তব চিত্রের যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, শুশীল সমাজের উৎকন্ঠা ও দেশের বিভিন্ন স্থানের বাস্তব চিত্র থেকে অনুমান করা যায়।

বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ তারা মিছিল বা গণসংযোগ করতে বের হলেই ছাত্রলীগ ও পুলিশ মিলে তাদের ওপর আক্রমন চালায়। তারা আরও অভিযোগ করছে একটি পোস্টার লাগাতে এলেও ছাত্রলীগ পুলিশ একত্র হয়ে আক্রমন চালায়। শাসক দল বীর দর্পে মিছিল ও প্রচার প্রচারনা চালালেও বিরোধী দলগুলো ভয়ে কোনঠাসা হয়ে রয়েছে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় পুলিশ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে ও অনেক সময় নেতা কর্মীদেরকে বাড়িতে গিয়ে না পেলে তাদের পরিবারে সদস্যদের সাথে যাচ্ছেতাই আচরন করছে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদেরকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নির্বাচনী প্রচারে সহিংসতার শিকার বিরোধীরা। এধরনের সহিংসতা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সংগঠনটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়। হিউম্যান রাইটস এর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক বলেন, নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। তারা যেন শাসক দলে মত কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে যে সহিংসতা চলছে এর প্রধান শিকার বিরোধীরা। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন যে সঠিক আচরন করছে না, এ ঘটনা তারই প্রমাণ। জনমতের প্রতিফলন ঘটানোর জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।