অগ্রণী ব্যাংকের ২০ কোটি টাকা পাচার অপরাধ বিচিত্রায় সংবাদ প্রকাশের পর দুদকের নোটিশ

0
687

মো: আবদুল আলীম: অগ্রণী ব্যাংকের রংপুর সার্কেলের নীলফামারী শাখার মাধ্যমে শাওন অটো ব্রিক্স লি: এর নামে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ২০ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। যন্ত্রপাতি আমদানির নামে এই টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এদিকে পোর্ট ডিমারেজ বাবদ সরকারের প্রায় ১৩ কোটি টাকা ক্ষতিসহ মোট ৩১ কোটি টাকার ওপর লোপাট হয়েছে।

ব্যাংকটির উক্ত শাখার অসাধু গ্রাহক মো: মঞ্জুরুল ইসলাম দানু এবং ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঐ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মঞ্জুরীপত্র নং আইসিডি-১ শওন অটো/৭৬৩/২০১৫ তারিখ ০২/১১/২০১৫ এর মাধ্যমে চীন থেকে যন্ত্রপাতি আমদানির নামে এ অর্থ লোপাট হয়। এ অনিয়মের মূল হোতা নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও শাওন অটো ব্রিক্স লি: এর মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম দানু, জিএম মো: মশিউর আলী (বর্তমানে ডেএমডি হিসেবে পিআরএলরত), উক্ত শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো: শফিকুল ইসলাম , রথিন্দ্রনাথ সরকার, রংপুর প্রধান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো: মকবুল হোসেন, রংপুর সাবেক অঞ্চল প্রধান অর্জিত কুমার দাস, রংপুর সার্কেলের জিএম মো: কামরুজ্জামান, কল্পনা সাহা, জিএম আইসিসি মো: মনোয়ার হোসেন এফসিএ ও আরও অনেকে। এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের নজরে আসে। দুদক তদন্তের জন্য জিএম বর্তামনে ডিএমডি হিসেবে পিআরএলরত মশিউর আলী সহ অপরাপর কর্মকর্তাদেরকে নোটিশ জারি করে। সংশ্লিষ্টদের দাবি জিএম আইন সুকান্তি বিকাশ সারনালকে দুদকের নোটিশ দেয়া উচিত ছিল। কারন তিনি অসৎ গ্রাহক মঞ্জুরুল ইসলাম দানুর প্রতিষ্ঠান শাওন অটো ব্রিক্স লি: এর অনুকুলে আরও ৭ কোটি টাকা ঋন প্রস্তাব পাঠান বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন যাবত দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। সংশ্লিষ্টদের আরও দাবি ডিএমডি মশিউর আলীর অবসরজনিত সুযোগ সুবিধা দুদকের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হোক। কারন এ বিশালাকারের দুর্নীতির সাথে তিনি সরাসরি জড়িত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 + 14 =