ঢাকা-১৯ আসনে শেষ মুহুর্তের প্রচারনায় এগিয়ে ডাঃ এনামুর রহমান

0
596
কামরুল হাসানঃঢাকা ১৯ আসনের প্রচারনায় এগিয়ে ডাঃএনামুর রহমান, ৩০ ডিসেম্বর রবিবার উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ ভোটার (সাভার-আশুলিয়ার) তার প্রিয় নেতাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত করবেন। নির্বাচনে মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. এনামুর রহমান এমপি’র নৌকা এবং বিএনপি’র প্রার্থী ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু’র ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। এখন দেখার অপেক্ষায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ কোনদিকে তাদের ভোটের রায় দেয়।
গণসংযোগকালে ডা. এনামুর রহমান ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি জামায়াত খুনির দল। তারা একাত্তর সাল থেকে মানুষ মারা শুরু করেছে। ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালীকে মেরেছে, জাতীর পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে, চার নেতাকে হত্যা করেছে, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। ২০০৪ সালে বোমা হামলার মাধ্যমে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সে সময় আওয়ামীলীগের আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মী মারা গেছে। এখনও চার’শ নেতাকর্মী শরীরে স্প্রীন্টার নিয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন, নৌকা আপনাদেরকে সব কিছু দিবে। আপনাদের সাথে আমরা সবাই থাকবো। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। দুর্ভি¶ নাই। মঙ্গা নাই। স্কুলের ছাত্ররা বছরের প্রথম দিন বই পায়। আমরা শান্তিতে আছি। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সব শেখ হাসিনা সরকার মোকাবেলা করেছে। সেই আওয়ামী লীগের একটি মার্কা নৌকা। নৌকা বিজয়ী হলে আপনি, শেখ হাসিনা বিজয়ী হবে। নৌকা বিজয়ী হলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে বাকি উন্নয়নও হবে। সকাল ১১ টার মধ্যে সবাই ভোট দিয়ে নির্বাচনের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে দুইশত যুবককে কেন্দ্র পাহাড়ার জন্য দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি জামায়াত খুনির দল। তারা একাত্তর সাল থেকে মানুষ মারা শুরু করেছে। ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালীকে মেরেছে, জাতীর পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে, চার নেতাকে হত্যা করেছে, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। ২০০৪ সালে বোমা হামলার মাধ্যমে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সে সময় আওয়ামীলীগের আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মী মারা গেছে। এখনও চার’শ নেতাকর্মী শরীরে স্প্রীন্টার নিয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের নেতা গাড়ি ভাংচুর করে এবং আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে আর আমাদের নেতা শেখ হাসিনা তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে দেখতে গিয়ে বার্ণ ইউনিট করে দেন।
একজন কত মহান আর একজন কত পাষান, একজন কত সেবক এবং একজন কত ঘাতক তাই আপনারা কাকে ভোট দিবেন সিদ্ধান্ত নেন। নৌকা ভোট দিয়ে এমন নেতাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।
নির্বাচনের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে দুইশত যুবককে কেন্দ্র পাহাড়ার জন্য দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। সকাল ১১ টার মধ্যে সবাই ভোট দিয়ে সারাদিন কেন্দ্র পাহাড়া দিবেন।
কারন বিএনপি বলেছে তারা কেন্দ্র দখল করবে। আমাদের যতো নেতাকর্মী আছে, যত যুবক আছে বিএনপির কি আছে? আমরা রুখে দাড়ালে কি তারা আসতে পারবে? যে কোন মূল্যে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। কেন্দ্র থাকবে আপনারা আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সাথে থেকে পাহাড়া দিবেন যাতে গণতান্ত্রিকভাবে সুষ্ঠ নির্বাচন হয়। আমরা কোন রকম দূর্নীতি করতে চাইনা। সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল ভোটে আমরা বিজয়ী হয়ে দেখিয়ে দিবো। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা আছে। তারা খালি হাতে আসেনি। গত দশ বছরে আপনাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে বিনিময়ে আপনাদের কাছে একটি ভোটের জন্য এসেছে। যারা দশ বছর এলাকায় ছিলোনা, মানুষের সুখে দুঃখে খবর নেয়নি, একটা মানুষ মারা গেলে জানাযা পড়তেও সাভারে আসেনি তারা আজ কোন মুখে ভোট চায়। ওরা আসছে খালি হাতে আর আমরা আসছি দুই হাত ভরে দিতে।
যে কিছু দেয় তাকে ভোট দিবেন নাকি খালি হাতে আসছে তাকে ভোট দিবেন। মানুষের মাঝে যে জোয়ার দেখেছি, যে রব উঠেছে সারা সাভারে নৌকার ¯েøগানে মুখরিরত চারদিক তাতে বিজয় আমাদের হবেই, কেউ আমাদের রুখতে পারবেনা।
Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − eight =