আতœহত্যার কারণ রাগ

0
760

লেখকঃ-এস ই ইসলাম
চেয়ারম্যানঃ-জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-বাংলাদেশ আমেরিকান প্রেস সার্ভিস

রাগের সংঙ্ঘা বলা কঠিন। এই রাগ জীবনকে করে দেয় বর্ণহীন। রাগের কারনে বড় যে দূর্ঘটনা হয় তা হলো আতœহত্যা। দিন দিন আতœহত্যার প্রবনতা বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের চার পাশে আতœহত্যার কারণ জেনে দেখা যায় যে, বড় একটি অংশ দখল করে আছে রাগ।

প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখা যায় মারামারি, খুনাখুনি, ঝগড়া-বিবাদ। রাগের মাথায় বউ আতœহত্যা করছে অথবা স্বামী পিটিয়ে মারছে। আবার কেউ কাউকে গুলি করে মেরে ফেলছে অথবা কুপিয়ে মারছে বা অন্য কোন উপায়ে মারছে। রাগ একটি ইমোশনাল বিষয়। যার বর্হিপ্রকাশ হয়, বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ভাবে। কেউ অন্য কে আঘাত করে, কেউ নিজের শরিরে আঘাত করে, আবার কেউ জিনিস পত্র নষ্ট করে। আবার কেউ বা আতœহত্যা করে কিন্তু এর প্রভাব পড়ে পরিবারের উপর এবং সমাজের উপর। এর সংখ্যা বেড়ে গেলে রাষ্ট্রের উপরও প্রভাব পরে। মূলত নির্দিষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছাতে পারলে, কেউ ডিভোর্স হলে, পরকিয়ায় জড়ালে, পরিক্ষার রেজাল্ট খারাপ করলে, ইভটিজিং, যৌতুক, ব্যবসায়ে ক্ষতি প্রধান কারনএ

কি কি কারনে মানুষের রাগ হতে পারেঃ-

১) নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়া।
২) ব্যক্তিত্বের দূবর্লতা ১০) পারিবারিক অশান্তি
৩) বিষন্নতা ১১) বিভিন্ন মানষিক রোগ
৪) সুচিবাই ১২) পরিবেশে শব্দ দূষন বা বায়ু দূষন
৫) নেশাগ্রস্থ ১৩) অন্যান্য কারন।
৬) ঘুমের সমস্যা
৭) যৌন সমস্যা
৮) দীর্ঘ দিন রোগে ভুগে থাকলে
৯) বংশগত রাগের কারণে

কেন রেগে যায় মানুষঃ- প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে বায়োক্যামিনাল পদার্থ আছে যা ব্যক্তিকে ব্যালেন্স করে রাগের বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থায়। বাইরের মানসিক চাপের কারনে, ব্যক্তিত্বের দূবর্লতার কারনে। এগুলো হের ফের হয় তখন মানুষের রাগ তার নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়।

বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী রাগ সম্পর্কে বলেছেনঃ-
কেউ বলেছেন রাগ জন্মগত কুঅভ্যাস। কেউ বলেছেন মনে লালিত রাগের বহিঃপ্রকাশ হয় কখনও সামাজিক প্রেক্ষাপটে আবার পারিবারিক ব্যবস্থায়। মানুষের অবচেতনা মনেই লুকিয়ে আছে আগ্রাসনের স্পৃহা। সভ্যতা শুধু একটা মুখোশ পড়িয়ে দেয়। যা আগ্রাসনের স্পৃহাকে ঢেকে রাখে।
রাগের ক্ষতিকর দিক গুলিঃ-

১) শারীরিক, ২) মানসিক, ৩) অর্থনৈতিক, ৪) সামাজিক,

কি কি ক্ষতি হয়ে থাকেঃ-

১) সংসারে অশান্তি হয় যা সন্তান শিখে। ২) সংসার ভেঙ্গে যায় ৩) হার্র্ট এ্যাটাক হয়, ৪) অন্যকে মেরে ফেলা, ৫) আতœহত্যা, ৬) বিষপান, ৭) মদপান বা নেশাগ্রস্থ, ৮) ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়া, ৯) ঝগড়া বিবাদে লেগে থাকা। ১০) ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়া ইত্যাদি।

তাছাড়া কিশোর কিশোরিদের ক্ষেত্রে রাগ তার জীবনকে ধ্বংশের পথে নিয়ে যেতে পারে। অনেকে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায় কেউবা নেশা করা শুরু করে। বিয়ে করে, খারাপ পথে চলে যায়।
তাছাড়া কেউ কেউ মা বাবার অপছন্দের পাত্রী কে বিয়ে করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে রাগ সংসার চালানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা। মা বাবার রাগ সন্তানদের মানসিক বিকাশ বুদ্ধির বিকাশ ও শারীরিক বিকাশ বাধা গ্রস্থ করে। বাবাকে ভয় পায়। বাবা বাসায় এলেই শিশুটি আতঙ্কিত হয় বা মাথা ব্যথা হয়। কোন কোন শিশু আবার বাবার আচরন নিজের মগজে দখল করে।

রাগের কারণে জীবনকে ধ্বংশ না করার পরামর্শ ডাঃ গন সব সময়ই রোগীদের দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন ঔষধ আছে যাতে করে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে। মানুষ রেগে না যাওয়ায় মেডিটেশন, কাউন্সিলিং ধর্মীয় উপন্যাস রাগ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

বর্তমানে নারীর প্রতি পুরুষের সহিংসতা বেড়েই চলছে। দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সমাজের উচ্চ বিত্তবান রাজনীতিবিদ ব্যবসায়ী, চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশার ব্যক্তি ও তরুন বয়সী বিপদ গামী ছাত্র ছাত্রীরা পরকিয়ার কারনে আতœহত্যা করছে। অনেক সম্মানিত ব্যক্তিগন ঘরে সুন্দরি, শিক্ষিত, চাকুরিজী বউ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রীর সাথে পরকিয়া করে ধরা পরে। যার কারনে সংসার ভেঁেঙ্গ যায়। সংসারের নারীটি হয় আতœহত্যা করে নতুবা মানবেতর জীবন যাপন করে।

সুতরাং, এই অবস্থার উন্নয়নের জন্য ব্যক্তি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন অবহিত করন সভা বা সেমিনার বা অন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করার এখনই সময়। অন্যথায় আমাদের আগামী প্রজন্মকে উন্নয়নের ফল উপভোগ ব্যহত হবে। জাতি কঠিন সময়ে উপনিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 + 1 =