তন্ময় আহমেদ নয়ন:লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। লালমনিরহাট জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল তালিকায় দেখা যায় মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার মধ্যে ১১জন প্রার্থী প্রাপ্ত ভোটের এক দশমাংশ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন।
লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগের মোতাহার হোসেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে অপর ৬ জনের কেউই জামানত উত্তোলনের মতো ভোট পাননি। এই আসনে বিএনপির ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান (ধানের শীষ) পান ১২ হাজার ১শ ৫৭ ভোট, জাতীয় পার্টির মেজর (অবঃ) খালেদ আখতার পান ২ হাজার ৩১৯ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের হাবিবুর রহমান (হাতপাখা) পান ৯৬২ ভোট, জাসদের ছাদেকুল ইসলাম (মশাল) পান ৪৪৭, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুস সাত্তার (আম) পান ৩০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন মুরাদ (টেলিভিশন) পান ২১৫ ভোট। লমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৩১ ভোটের মধ্যে আ.লীগের নুরুজ্জামান আহমেদ (নৌকা) ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির রোকন উদ্দিন বাবুল (ধানের শীষ) ৭৮ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের ইব্রাহিম হোসেন খান (হাতপাখা) পান ৮ হাজার ৯৯২ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিমলীগের বাদশা মিয়া (হারিকেন) পান ২৬৬ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শরিফুল ইসলাম (আম) ১৩৩ ভোট। এই তিন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জামানত উত্তোলনের মতো ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে মোট ২ লাখ ৫১ হাজার ৬৫১ ভোটের মধ্যে মহাজোটের জাতীয় পার্টি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কাদের (লাঙল) পান ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৪৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী আসাদুল হাবিব দুলু (ধানের শীষ) ৮১ হাজার ৩৯৯ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোকছেদুল ইসলাম (হাতপাখা) ৫ হাজার ৬১ ভোট ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের আবু তৈয়ব মো. আজমুল হক পাটোয়ারী ২১৩ ভোট পেলেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা শফিউল আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইন মতে নির্দিষ্ট পরিমান ভোট পেতে হয়। মোট ১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর নির্দিষ্ট পরিমান ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।