আমির হামজা, ধামরাই থেকে ফিরে : ধামরাইয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ইসলামপুর পৌর শহরের বংশী নদীর পার নয়ারহাট সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বালু ব্যাবসা গড়ে উঠেছে। দীর্ঘ দিন যাবত সরকারী দলের নামধারী সমর্থিত ১৫/২০ জনের একটি সিন্ডিকেট দল নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে এ অবৈধ বালু ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মহাসড়ক ঘেষেঁ বালুর ব্যাবসা চালানোর ফলে বাতাসে বালু উড়ে পর্থচারী, পরিবহন চালক ও যাত্রীদের চোঁখে পরছে এতে বিড়ম্বনা পরছে পর্থচারীরা। একই সাথে বালুর ট্রাক লোড আনলোডের সময় তৈরি হচ্ছে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ইসলামপুর বিশাল প্রতিদিনের যানজট। বছরের পর বছর ধরে এমন দুভোর্গ সয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার পর্থচারীরা। অপরাধ বিচিত্রার এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ধামরাই পৌরসভার ইসলামপুর বংশী নদীর পাড়ে কয়েক এক জমি দখল করে বালুর স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ও বংশী নদী অবৈধ দখল চলে গেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ যুগের বেশী সময় ধরে ট্রাকে করে বালু লোড আনলোড করছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গ্রুপ। মহাসড়কের পাশে বালুর রাখায় ট্রাক আসা যাওয়ার কারনে মাঝে মধ্যে দুঘটর্না ঘটেই চলছে। কারন প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী এই সড়কে চলাচল করছে। বালু উড়ে গিয়ে পর্থচারী সহ বাসা বাড়ীর বিছানা ও আসবাপত্র নষ্ট হচ্ছে। কয়েকজন যানবাহন চালকরা জানান, প্রতিদিন বালুর ট্রাকের লোড আনলোডের সময় তীব্র যানজটে পরেন তারা। ধামরাই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) আবুল কালাম জানান, আমি এ ব্যাপারে খোজ খবর নিয়ে দেখব। মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নিবার্হী পৌকশলী একচেঞ্জ মহিবুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে অবৈধ বালু ব্যাবসার কারনে বংশী নদী গ্রাস হয়ে যাচ্ছে। বালু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করলে উল্টো ওই ব্যাক্তিকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে থাকে। কারন বালু সিন্ডিকেট গ্রুপটি বেশ প্রভাবশালী ও তাদের রয়েছে অর্ধশতাধিক ক্যাডার বাহিনী। উল্লেখ্য থাকে যে ঢাকা-২০ আসনের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য অআলহাজ¦ এম এ মালেকের জামাতা শাহীন এই বালু সিন্ডিকেটের সাথে দীর্ঘ দিন জড়িত থাকার ফলে স্থানীয় প্রশাসন ও ছিলেন ঘুমিয়ে। বালু সিন্ডিকেট গ্রুপের এক সদস্য অপরাধ বিচিত্রাকে জানান, আমরা স্থানীয় প্রশাসন নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এ বালুর ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আপনি সাংবাদিক আমাদের বিরুদ্বে লেখা লেখি করে কোন লাভ হবে না। কারন আমাদের হাত অনেক লম্বা, আমাদের উপরে গডফাদার আছে। আপনের মত অনেক সাংবাদিক আছে তাদেরকে আমরা টাকা পয়সা দিয়ে থাকি যে কারনে তারা নিশ্চুপ। এদিকে এই অবৈধ বালু ব্যাবসা করে সিন্ডিকেট গ্রুপটি হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা আর অপরদিকে রাজস্ব থেকে বঞ্জিত হচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে আপরাধ বিচিত্রার তথ্যানুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।