Site icon Aparadh Bichitra

পানি দেয়ার ইচ্ছা থাকুক আর নাই থাকুক ইলিশ পাওয়ার ইচ্ছাটা তাদের রয়েছে শতভাগ

পানি দেয়ার ইচ্ছা থাকুক আর নাই থাকুক ইলিশ পাওয়ার ইচ্ছাটা তাদের রয়েছে শতভাগ। আর সে জন্যই এ বছরের জুন মাস থেকে খুলে দেয়া হবে ফারাক্কা বাঁধের নতুন নেভিগেশন লক।

 

যাতে ইলিশ সাতরে ভারতের এলাহাবাদ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, ইলিশের মৌসুমে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কিছুটা উঁচু করে স্লুইচ গেট খোলা রাখা হবে। যাতে ইলিশের আগমনে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। গঙ্গার জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভারত কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ষা মৌসুমসহ তিনটি মৌসুমে যেন বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা ইলিশ পদ্মা-গঙ্গা বেয়ে ভারতের অনেকখানি ভিতরে ঢুকে যেতে পারে সে লক্ষ্যেই ৩৬১ কোটি রুপি ব্যয়ে নতুন এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে গত শুক্রবার জানান ভারতের পানি সম্পদমন্ত্রী নিতিন গাদকারি। ভারতের অভ্যন্তরীণ পানিপথ কর্তৃপক্ষের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবির পান্ডে বলেন, ইলিশ যেহেতু রাতে চলাচল করে, তাই এই গেট প্রতিদিন রাত একটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। আইসিএআরসি সেন্টার ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশন ও ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট অথরিটির সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ প্রকল্প চালু হলে ৪০ বছর পর আসন্ন বর্ষার মৌসুমে ফের ফারাক্কা দিয়ে এলাহাবাদের গঙ্গায় ঢুকতে পারবে ইলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ভারতে আবারো ইলিশের প্রাচুর্য দেখা দেবে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারাক্কা বাধ তৈরি হওয়ার আগে ফারাক্কা দিয়ে ভারতের গঙ্গা হয়ে এলাহাবাদে ধরা পড়তো সাগরের ইলিশ। কিন্তু বাঁধটি চালু হওয়ার পর থেকে এর নেভিগেশন লকের কারণে ইলিশ এলাহাবাদ পর্যন্ত যেতে পারতো না। সম্প্রতি লকটি নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে প্রজনন মৌসুমে ইলিশের যাতায়াতে বাধা থাকবে না।