বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির বিকল্প কিছু নেই। আমাদের বর্তমান রপ্তানি বাণিজ্য এখনও তৈরী পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল। দেশে আরো অনেক সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত রয়েছে। সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। দেশের ঔষধ, ফার্নিচার, চামড়া, আইসিটি, কৃষিপণ্য, জাহাজ নির্মাণেরমত সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগাতে হবে, গতিশীল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বেশি হয়।
তারপরও এখানে এবার ২০০ কোটি টাকার বেশি পণ্য রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। আলাদা করে রপ্তানি মেলার আয়োজন করা হলে সেখানে আরো বেশি রপ্তানি আদেশ পাওয়া সম্ভব। সুখের বিষয় দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের পন্য তৈরী হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন দেশের তৈরী বিশ^মানের পণ্য পাচ্ছে। দেশীয় পণ্যের উপর মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে এ ক্ষেত্রে পণ্য আমদানি আসতে আসতে কমছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি (আজ ৯ ফেব্রুয়ারি) শেরে-বাংলাস্থ মাস ব্যাপী ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। একটি দেশের স্বাধীনতা অপরটি দেশেল অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিরা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সফল ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান থেকে সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারত থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। টিপু মুন্শি বলেন, ঢাকার অদুরে পূর্বাচলে একটি স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে সারা বছর জুরে বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজন করা সম্ভব হবে। দেশে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩৬ একর জমির উপর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো বড় স্থানের চিন্তা করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এ ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে। উল্লেখ্য, ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। মেলায় দেশী-বিদেশী ৬০৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ২২টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেলায় অংমগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩টি ক্যাটাগরিতে ৪২টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়। ৩৩টি সহযোগি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট এবং সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কৃত করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি এবং বিশেষ অতিথি তোফায়েল আহমেদ যৌথ ভাবে এসব প্রফি ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।