মমিনুল ইনলাম, ফরিদগঞ্জ: বিভিন্ন উপজাতের দেশীয় মৎস্য ও সবজি চাষ করে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় স্বাবলম্বী হয়েছে খামারী অাব্দুল খালেক পাটওয়ারী (৫০)। চাঁদপুর ফরিদগন্জ উপজেলার পূর্ব অালোনিয়া গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর মৃতঃ মিছির অালী পাটওয়ারী ছেলে খামারী অাব্দুল খালেক পাটওয়ারী।
সরজমিনে গেলে খামারী অাঃ খালেক জানান, ১৮ বছর বয়সে নিজ মাতৃভুমি ছেড়ে চাকরি উদ্যেশ্যে তিনি অারব অামিরাতে পাড়ি জমান, দীর্ঘ ২৫ বছর বিদেশে কর্মজীবন শেষ করে গত ৩বছর পূর্বে চাকরি ছেড়ে এক বারে চলে অাসেন তিনি দেশে। স্বপ্ন ছিল তার দেশে এসে একটি মৎস্য খামার করে জীবনের বাকী সময়টা দেশের মাটিতে কাটিয়ে দিবে।
সে স্বপ্নকে বুকে লালন করে বাস্তবে রুপদিতে অাঃ খালেক তার বিদেশ অর্জিত নগদ অর্থায়ন দিয়ে ৩ একর একটি ঝিল নিয়ে দেশীয় বিভিন্ন জাতের মৎস্য রুই,কাতল, চিতল, মৃগেল, কার্পু, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ চাষ করছেন।
বিভিন্ন কম্পানীর বাজারজাত দানাদার মৎস্য খাবারের পাশাপাশি নিজ উদ্যেগে গোবর, চালের কুড়া, গমেরভুষি, রাসায়নিক সাদা সার,লালসার ভিটামিন ও খড়কুটো দিয়ে কৃত্বিম উপায়ে উপযোগী খাদ্য তৈরী করে তা মাছের খাবারে ব্যবহার করে। কৃত্বিম খাবারে মাছ দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি পায় এবং ভাল ফলন পাওয়া যায় এতে অনেকটা খরচ হাতের নাগালে থাকে বলেও জানান তিনি।
মৎস্য চাষের পাশাপাশি ঐ ঝিলের চারপাড় দিয়ে পানির কিছু অংশে সুতার জাল দিয়ে ঝাড় তৈরী করে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, করলা, ঝিঙ্গে, বটবটি, তরী ও বিভিন্ন জাতের মৌসুমী সবজি চাষ করেন। এছাড়াও রয়েছে ৩ সহশ্রাধিক বিভিন্ন উপজাতের কলা গাছ। ইহার রক্ষনাবেক্ষনে রয়েছেন প্রতিনিয়ত ৩ জন শ্রমিক।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অাঃ খালেক এ প্রতিনিধিকে জানান, মৎস্য ও সবজি চাষে সকল খরচ চুকিয়ে বাৎসরিক প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা অায় করেন। বর্তমানে ঝিলটিতে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার মাছ রয়েছে। মৎস্য চাষের পাশাপাশি এ ঝিলটিতে হাঁসের খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মৎস ও সবজি চাষের সফলতায় হাঁসি ফুটে খামারী অাব্দুল খালেকের।