পাকিস্তান সরকার ধর্ষণ ও অপহরণের শাস্তি হিসেবে আেইন করেছে মৃত্যুদন্ড

0
561

১৪ বছরের কম বয়সীকে কোনো শিশুকে ধর্ষণ ও অপহরণের শাস্তি হিসেবে দেওয়া ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রকাশ্যে কার্যকরের জন্য বিদ্যমান একটি আইন সংশোধনের আহবান জানিয়েছে পাকিস্তান আইনসভা।

 

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে সাত বছর বয়সী শিশু জায়নাব আনসারিকে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে সৃষ্ট ব্যাপক ক্ষোভের মধ্যে এ আহবান জানানো হয়। গত বুধবার ফৌজদারী অপরাধ আইন সংশোধন ২০১৮ শিরোনামের এ বিলটি সিনেট কমিটিও অনুমোদন দিয়েছে অপহরণ ও ধর্ষণ সংক্রান্ত দেশটির বিদ্যমান আইনে সংশোধনের প্রস্তাবে। ফলে পরিবর্তন আসছে শিশু অপহরণ সংক্রান্ত পাকিস্তানের দণ্ডবিধি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রেহমান মালিক বলেন, “বিদ্যমান আইনে ইতিমধ্যে সংস্কার আনা হয়েছে, এবং তা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এবার তা ভোটের জন্য সিনেটে পাঠানো হবে।”পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, শিশু ধর্ষণ ও অপহরণের শাস্তি প্রকাশ্যে কার্যকর করতে পাকিস্তান দণ্ড বিধি ১৮৬০-এর ৩৬৪ ধারা সংশোধন করা হয়েছে। ৩৬৪ ধারাতে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছরের নিচে) কাউকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর হত্যা করলে অথবা মারাত্নকভাবে আহত করলে দোষী যে কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। মালিক বলেন, “আইনের এই ধারাটিতে ‘প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড’-এই শব্দটি যোগ করতে সংশোধনের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে।” জায়নাবের হত্যার বিচার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকা উচিত বলেও তিনি মনে করেন। পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৯ জানুয়ারি কাসুরের একটি ভাগাড়ে জয়নাবের লাশ পাওয়া যায়। বাসা থেকে পড়তে যাওয়ার পথে সে নিখোঁজ হয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাত বছর বয়সী শিশু জায়নাবকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ এবং হত্যার এ ঘটনায় কাসুর জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালালে দুই জনের প্রাণহানি ঘটে। পরে এ ঘটনায় ইমরান নামের এক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতার ময়না তদন্তের সময় সংগৃহীত আলামতের সঙ্গে তার ডিএনএ-এর মিল পাওয়া গেছে। এমনকি ঘটনার দায়ও সে স্বীকার করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × two =