Site icon Aparadh Bichitra

উজিরপুরে কলেজ ছাত্র হত্যা মূল আসামী গ্রেফতার

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ভবানীপুর হাজী তাহের উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের মুন্সির তাল্লুক গ্রামের সরোয়ার হাওলাদারের পূত্র ইমরান হাওলাদার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ বুধবার রাতে নিহতের বন্ধু ও চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম, তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে লোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

 

এ ব্যাপারে বরিশাল পুলিশ সুপারের এক প্রেসব্রিফিং এ পরকীয়ার জের ধরে কলেজ ছাত্র ইমরানকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান। ইমরান হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, ৫বছর পূর্বে বন্ধু ও চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়ার সঙ্গে ইমরানের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রথম দিকে রাবেয়া স্বেচ্ছায় মেলামেশা করলে এক পর্যায়ে রাবেয়া আক্তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিন্ন করেন। পরবর্তিতে ইমরান পূর্বের মেলামেশার ভিডিও দেখিয়ে রাবেয়াকে জিম্মি করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধ মেলামেশায় বাধ্য করে। এক পর্যায়ে রাবেয়া বিষয়টি স্বামী আরিফুল ইসলামকে জানান। এতে আরিফুল ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরানকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার রাতে জবাই করে হত্যা করেছে। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে বুধবার রাতে উজিরপুর থানা পুলিশ মুনসীরতাল্লুক গ্রামে অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলাম (২৭) ও স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে (২২) আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য বেরিয়ে আসে। এক পর্যায়ে ইমরানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার কথামত হত্যার ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও ইমরানের ব্যবহৃত মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। ইমরান হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতে কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যাক্ত জমিতে ফেলে রাখে। শনিবার সকালে তার পরিবার লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষ করে রবিবার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহতের পিতা সরোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৬দিনের মধ্যে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করতে সক্ষম হন।