ফয়েজ আহমেদ,দশমিনা প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূনী নামক গ্রামে ঘটে এ মার্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, বিগত ২০ জুলাই ২০১৮ খ্রীঃ তারিখে দিবাগত গভির রাতে জমা জমি নিয়া বিরোধকে কেন্দ্র করে শহিদ ফকির ও অরুনা বেগমদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।
ঐ বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন ও সময় অরুনা তার মেয়ে তানিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শহিদ ফকিরকে ডেকে নিয়ে বাড়ীর দক্ষিণ পাশের রাস্তার উপর এ্যালোপাথারী ভাবে ধারালো দা দিয়া কুপিয়ে গুরুতরও জখম করেছে বলে দাবী শহিদ ফকির ও তার পরিবারের। অপর দিকে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে ঘরে ঢুকে মেয়ে তানিয়াকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা কালে তানিয়ার মা অরুনা বেগম শহিদ ফকিরকে কুপিয়েছে বলে দাবী অরুনার। রয়েছে পাল্টা পাল্টি দুই দুটো মামলা। এ ঘটনায় অরুনা বেগম বাদী হয়ে ২১ জুলাই ২০১৮খ্রীঃ তারিখে ,শহিদ ফকির(৪০)কে আসামী করে দশমিনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০এর ৯(৪)খ ,তৎসহ দঃবিঃ ৪৫৭,৩২৩ ও ৩০৭ ধারায় একটি মামলা রুজু করে। এ মামলাটির তদন্তভার অর্পিত হয় এস,আই মোঃ সিরাজুল ইসলামের উপর। অপর দিকে শহিদ ফকিরের স্ত্রী মোসাঃ শাহিনুর বেগম বাদী হয়ে গত ৩০ জুলাই ২০১৮ খ্রীঃ তারিখে আবু তাহের মীর(৩৫) পিতা সৈয়দ মির,হাবিব খলিফা (২৭) পিতা ফুরায খলিফা ও কামাল সরদার (৩৫) পিতা আলম সরদার সর্ব সাং চরঘুনীকে আসামী করে দশমিনা থানায় একটি জি/আর মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং – ১২০/২০১৮। তবে প্রকৃত সত্য কি ? তা জানতে দীর্ঘ দিন পর পটুয়াখালী ও দশমিানর কতিপয় প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মী ছুটে যান এলাকায়। সাংবাদিকদের আগমনের সংবাদে সংশ্লিস্ট এলাকার প্রায় কয়েক শত লোক ছুটে এসে রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে মানব বন্ধন কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করেন । বক্তব্য রাখেন, চেয়ারম্যান এটিএম নাসির উদ্দিনের বলেন,মা মেয়ে দু’টোই খারাপ। এ নিয়ে এদেরকে বহু ছেলের সাথে আটক করা হয়েছে এবং বহুবার শালিস বৈঠকও করা হয়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোশারেফ ফকির,রহিম জোমাদ্দার,হেল্লাল ফকির,মোঃ শফিক ঢালী,মোঃ আনোয়ার হোসেন,আঃ রাজ্জাক হাওলাদার প্রমূখ। মানব বন্ধনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বক্তারা বলেন, মা অরুনা বেগম এবং তার মেয়ে তানিয়া বেগম দীর্ঘ দিন ধরে নিজ বাড়ীসহ অত্র এলাকায় উঠতি বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটা মিনি পতিতা খুলে অবাদে ব্যাবসা করে আসছে। তার প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন ও সময় অরুনা তার মেয়ে তানিয়ার ভারাটে লম্পট বাহিনী দ্বারা এ ঘটনা ঘটাইয়াছে। শহিদ ফকিরের স্ত্রী শাহিনুর বলেন, আমার স্বামী সম্পুর্ন নির্দোষ,আমাগো লগে হ্যাগো জমি জমা নিয়ে জগরা এবং ঐ মা –মাইয়ার নস্টামীর প্রতিবাদ করাতে হ্যাগো ভারাটে বাহিনী দিয়া বাড়ী থেকে আমার স্বামীরে ডাইক্যা নিয়া হ্যারে কোপাইছে। আর হেইয়ার পর দিন থাইক্যাই তানিয়া বাড়ী থাইক্যা ঢাকা যাইয়া পলাইছে। এমর্মে মামলার তদন্ত সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা এস আই মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার হাতে দুইটা মামলাই তদন্তের জন্য আছে । আমি উক্ত মামলা দুটোর অধিকতর তদন্তপূর্বক স্বাক্ষ্য প্রানের ভিত্তিতে দেখা গেছে বাদীনী অরুনার মামলাটির ঘটনা সত্য। তাই সে মামলাটির চার্জসীট দিয়েছি এবং শহিদ ফকিরের স্ত্রী শাহিনুর বাদী হয়ে যে মামলাটি দায়ের করেছে তা ছিল অনেকটা কাউন্টার মামলা এবং সে মামলাটির তেমন কোন সত্যতার প্রমান পাওয়া যায় নাই। তাই শাহিনুরের মামলাটি ফাইনাল দিয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে এসপি স্যারেও অবগত আছেন।