Site icon Aparadh Bichitra

বাংলাদেশী চ্যানেল প্রতি ৫ কোটি দাবি করেছে ভারত : তথ্যমন্ত্রী

অবি ডেস্কঃ কলকাতায় বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল দেখাতে চ্যানেল প্রতি পাঁচ কোটি টাকা চাইছে সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা। অথচ বাংলাদেশ ভারতীয় চ্যানেল দেখাতে নেয় মাত্র দুই লাখ টাকা।

 

গতকাল শনিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে বর্তমানে কলকাতা সফরে আছেন তথ্যমন্ত্রী। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে কলকাতার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তথ্যমন্ত্রী।

কবে থেকে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলো কলকাতায় দেখা যাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো চাই এখানে (কলকাতায়) দেখানো হোক। কিন্তু এখানকার ক্যাবল অপারেটররা প্রতি চ্যানেলে পাঁচ কোটি টাকা চাইছে অথচ আমরা ভারতীয় চ্যানেলগুলো থেকে মাত্র দুই লাখ টাকা নেই।

খুব শিগগিরই কলকাতায় বিটিভি দেখা যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, বাকি চ্যানেলগুলো নিয়েও কথা চলছে। আপনাদের (কলকাতার সাংবাদিকদের) মাধ্যমে এখানকার ক্যাবল অপারেটরদের বলতে চাই, টাকার অঙ্কটা কমান, তাহলেই বেসরকারি চ্যানেলগুলো আসতে পারবে।

দুই দেশের মধ্যে সংবাদপত্র বিনিময়ের কোনো ব্যবস্থা করা যায় কী না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দুই দেশের মানুষ তো ইন্টারনেটের সৌজন্যে প্রতিদিনই দুই দেশের সংবাদপত্র দেখছেন, পড়ছেন। তবে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে দেখব।

কাশ্মীরে সিআরপিএফেএর গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশ সব সময় শান্তি চায়, শান্তির পক্ষে। এ সময় তিনি কাশ্মীরে জওয়ানদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দুই দেশের বাসিন্দারা রাজনৈতিক কাঁটাতারে আটকে থাকলেও, আমাদের সংস্কৃতি কখনোই বিভক্ত করা যাবে না। আমাদের মনে এখনো যা বিভেদ আছে তা আমরা দুই দেশের উদ্যোগে অনেকটাই কমিয়ে এনেছি। আরো কাজ বাকি আছে বলে মনে আমি করি। একাজে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা আছে, আর তা আপনারা পালন করে চলেছেন।

জাল টাকা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই জাল কারেন্সি যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। এর মোকাবিলা আমরাও করছি। রুপি বা টাকা তো ছিল এখন ডলারও জাল হচ্ছে। দুই দেশ এ নিয়ে সতর্ক আছে। চেষ্টা করছি যাতে অচিরেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা প্রেসক্লাবে সপ্তাহে দুই-তিন বার যেতে হয়। কলকাতা প্রেসক্লাবে আসার সুপ্ত ইচ্ছা ছিলো, সেই ইচ্ছা পূরণ হলো। আমি সাড়ে তিন ঘণ্টার জার্নি করে শান্তিনিকেতন থেকে আসছি। আপনাদের আতিথেয়তায় জার্নির ক্লান্তি আমার চলে গেছে।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল, বাংলাদেশের চিত্রতারকা ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস, তারিন, রিয়াজ প্রমুখ।