মাজহারুল ইসলাম রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার পূর্বাঞ্চলীয় উলিপুর. চিলমারী এবং সীমান্ত ঘেঁষা রৌমারী ও রাজিবপুরসহ কয়েকটি উপজেলার মাঝামাঝি বইছে ভয়াবহ ব্রক্ষপুত্র নদী। রৌমারী ও রাজিবপুরের কূল ঘেঁষে একেঁবেকেঁ বয়ে চলা ব্রক্ষপত্র হারিয়ে ফেলেছে তার হাজার বছরের সেই চিরচেনা পছন্দময়ী স্রোত ও নাব্যতা।
আর এখন নদ থাকলেও নাব্যতা হারিয়ে নদীটি এখন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম প্রায়। ব্রক্ষপত্র নদের থৈ থৈ পানি. আর তীব্র স্রোত এখন এটি একটি খালে পরিনত হয়েছে। এক সময় ব্রক্ষপত্র নদের সঙ্গে সঙ্গী ছিলো অনেক ছোটবড় নদ ও নদীর সংযোগ মিলনস্থল। একসময় কুড়িগ্রাম জেলা থেকে শুরু করে. গাইবান্ধা. জামালপুর.শেরপুর জেলাসহ পাশাপাশি কয়েকটি জেলার একমাত্র প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ছিল এই ব্রক্ষপুত্র নদীটি। দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ গুলোই শ্যালো চালিত নৌকা যোগে যাতায়াত করতেন। আর সেই নদীটি এখন ভোরা মৌসুমের বন্যাতেও পানি নেই ব্রক্ষপুত্র নদে। তারপরও এখানকার লোকজন ব্রক্ষপুত্র নদীকে ঘিরে গড়ে তুলেছেন জীবিকার সন্ধান। শত শত জেলে পরিবার তাদের জীবিকার সন্ধানে ছুটে যেতো ব্রক্ষপুত্র নদে। বর্তমান নদীটি নাব্যতা হারিয়ে বালুচরে পরিনত হওয়ায় শত শত জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়েছে। তারা অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন। ব্রক্ষপুত্র নদের উপর একসময় নির্ভর করতেন হাজার হাজার কর্মজীবি মানুষের জীবিকা- আয়। আর এই উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতেই হারিয়ে বর্তমান নদীর নাব্যতার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে ব্রক্ষপুত্র নদ। আয় কমেছে মাছ ধরা খেটে খাওয়া জেলেদের। এনদে চলতো নৌকা.ষ্টিমার লঞ্চ.বড় বড় মালবাহী
নৌকা নিয়ে মানুষ রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম। কুড়িগ্রাম থেকে জামালপুর. শেরপুর. গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতেন। ব্যবসায়ীরা নানাধরনের মালামাল পারাপার করতেন। এখন আর সেই সুখ শান্তি নেই নদীতে নেই স্রোত।যার ফলে যাতায়াত ব্যবস্থার অবনতি এক ঘন্টারস্থলে বর্তমান চার
ঘন্টায় পৌছতে হয় কুড়িগ্রাম জেলা শহরে।