নাসিকের কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী কে এই শাহিদা ? ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে হয়রানি

0
585

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী শাহিদা আক্তার। তার হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারন ব্যবসায়ীরা। সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন খাবারের প্রতিষ্ঠানে এসে নিজেকে নাসিক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠান গুলোর সমস্যা দেখিয়ে জরিমান করে। শুধু তাই নয় গত কিছুদিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ মোহাম্মাদীয়া হোটেলে এসে তাদের কাছে ব্যবসায়ীক ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চায় শাহিদা। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষকে কিছু না বলে তাদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলে যায়। মোহাম্মদীয়া হোটেলের মালিক আউয়াল বলেন, তিন চার মাস আগে হোটেলে এসে জানালা সমস্যা দেখিয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে শাহিদা আক্তার।

আবার গত দুই সাপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচয়দানকারী শাহিদা আক্তার আমার হোটেলে আসে। পরে তিনি আমাদের হোটেলের ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চায়। লাইসেন্স তাকে দেখানো হলে তিনি লাইসেন্স নিয়ে চলে যায় এবং আমাকে অফিসে আসার জন্য বলে। আমার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে যাওয়ার কারনে আমাকে এখন ব্যবসায়ীক কাজের জন্য অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তিনি কি ভাবে আমার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন ? তিনি ত ম্যাজিস্ট্রেট নন ?। কোন আইনের বলে শাহিদা আক্তার আমার হোটেলে এসে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে গেছে ?। শাহিদা আক্তারের বিষয়ে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থার করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী করছি এবং আমার ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। চিটাগাংরোড এলাকার কয়েকজন ব্যকসায়ী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, গত কয়েক মাস আগে বিভিন্ন খাবারের প্রতিষ্ঠানে এসে শুধু তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জরিমানা করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে। উক্ত বিষয়ে শাহিদা আক্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার হোটোলের পরিবেশ ভালো না। ট্রেড লাইসেন্স কেন নিয়ে আসলেন এমন প্রশ্নে জবাবে বলেন ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের জন্য আনা হয়েছে। আপনি নাসিক কোন পদে আছেন এমন প্রশ্নে শাহিদা বলেন আমি ছুটিতে আছি পরে কথা হবে বলে ফোনটি রেখে দেন। উক্ত বিষয়ে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী মুঠোফোনে বলেন, মোহাম্মাদীয়া হোটেলের ট্রেড লাইসেন্স শাহিদা নিয়ে এসেছে তা আমি জানিনা। তবে বিয়ষটি আমি শুনে ব্যবস্থা নিচ্ছি। উক্ত বিয়ষ গুলো তদন্ত করে শাহিদা আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী করেন ভুক্তভোগিরা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − 11 =