কামরুল হাসান রুবেলঃ কতটুকু সমাজ অবক্ষয় হলে স্বামীর বিরুদ্ধে উঠে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ।যে হাতে নারীদের নিরাপদ থাকার কথা, সে নিরাপদ হাত যদি হয় ঘাতকের হাত। এবার খোদ স্বামীর বিরুদ্ধেই উঠলো আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ। এঘটনার পর থেকে স্বামী শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাভারের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকায় এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম রিনা বেগম (৪৫) সে জয়নাবাড়ি এলাকার মৃত সামসুল হকের মেয়ে।
নিহত ওই গৃহবধুর বোন রিপা অভিযোগ করে বলেন তার রিনা বেগম বোন রাজধানীর শেরেবাংলানগর এলাকার জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে আয়ার চাকুরী করে আসছিলেন তার স্বামী শহিদুল ইসলামও ওই হাসপাতালে নিরাপত্তার চাকুরী চাকুরী করতেন সেখান থেকে তাদের পরিচয় এবং তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার আগে ওই নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যবসার কথা বলে তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ১৫ লক্ষ টাকা নেন সেই টাকা গতকাল রাতে চাইলে ভোর রাতে তার বোনকে পিটিয়ে আহত করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে স্বামী শহিদুল ইসলাম। এঘটনায় তার স্বামী আগুন নেভাতে নিজের বাড়িতে পানি থাকলেও বাড়ির অনেক দুরে মসজিদে পানি আনতে যান। পরে তার স্বামী নিহতকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে হাসপাতাল থেকেই স্বামী শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
এঘটনায় এলাকাবাসী ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে নিহত ওই নারীর এমন হত্যা কান্ডে ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শহিদুল ইসলাম নিহত ওই নারীর দ্বিতীয় স্বামী ছিলো এছাড়া শহিদুল ইসলামের আরও একটি ঢাকায় স্ত্রী ছিলো দুই স্ত্রীর কাছেই তিনি থাকতেন।
ঘাতকের বাড়ি বরিশাল জেলায় বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য গোলাম নবী বলেন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে ও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।