জেনে নিন মিসওয়াক করার উপকারিতা

0
2220

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত হচ্ছে মিসওয়াক করা। মিসওয়াক করার মাঝে রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন বহু কল্যাণ ও উপকারিতা।

 

তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি বিশেষ যত্নবান ছিলেন এবং উম্মতকেও এ ব্যাপারে বিশেষভাবে তাকিদ দিয়েছেন। হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এমনটি কখনো হয়নি যে, জিবরাইল (আঃ) আমার নিকট এসেছেন আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেননি। এতে আমার আশংকা হচ্ছিল যে, (মিসওয়াকের কারণে) আমার মুখের অগ্রভাগ ছিলে না ফেলি। (মুসনাদে আহমদ) অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি যদি উম্মতের উপর (কষ্ট হবার) আশংকা না করতাম তাহলে প্রত্যেক নামাজেই মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম। (বুখারী, মুসলিম)

মিসওয়াক করার ফজিলত- মিসওয়াকের বহু ফজিলত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মেসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায় (নাসায়ী) অন্য এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মেসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মেসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তরগুন বেশী ফযীলত রয়েছে।(বাইহাকী)

মিসওয়াকের কয়েকটি ইহকালীন ফায়দা- ১) দারিদ্র্যতা দূর হয়ে সচ্ছলতা আসে এবং উপার্জন বাড়ে। ২) পাকস্থলী ঠিক থাকে। ৩) স্মরণশক্তি ও জ্ঞান বাড়ে। ৭) অন্তর পবিত্র হয়। ৮) সৌন্দর্য বাড়ে। ৯) দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। ১০) মুখের দুরগন্ধ দূর হয় ইত্যাদি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × five =