শত শত মানুষকে প্রলুব্ধ করে অর্থ সংগ্রহ করে প্রিভেইল গ্রুপ

0
816

দালালের মাধ্যমে মাসে প্রতি লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা এবং চাহিবা মাত্র আসল টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গিকারে শত শত মানুষকে প্রলুব্ধ করে অর্থ সংগ্রহ করে প্রিভেইল গ্রুপ।

 

কিন্তু মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই ফেরত দেয়নি প্রিভেইল গ্রুপ। গ্রাহকদের করা অভিযোগ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চার মামলায় আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত প্রিভেইল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একরামুল হক মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কৈয়ারধারী গ্রামের মৃত আলী আশরাফ মজুমদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চারটি সিআর সাজা পরোয়ানা, দশটি সিআর পরোয়ানা ও একটি জিআর পরোয়ানাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আবদুস সালাম জানান, আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন একরামুল হক মজুমদার পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাতে ঢাকার মালিবাগ থেকে সিআইডি পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ করে জানান, একরামুল হক মজুমদার ইসলামী শরিয়াভিত্তিক পরিচালনার কথা বলে ২০০৬ সাল থেকে প্রিভেইল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (রেজিঃ নং- ১৫২/০৬) নামের আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু করেন। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকার হাকিম প্লাজার দ্বিতীয় তলায় ছিল এর প্রধান কার্যালয়। এছাড়া ঢাকা পুরানা পল্টনে ৫৫/বি-নোয়াখালী টাওয়ার, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের ৬নং মুরাদপুরের মদিনা মার্কেটের ৩য় তলায় ও কক্সবাজার, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, বরুড়া, নাঙ্গলকোট, বাঙ্গড্ডা, দেবিদ্বার, লাকসাম, নগরীর কান্দিরপাড়, মোগলটুলীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রিভেইল গ্রুপের অর্ধশত শাখা অফিস খোলা হয়। অফিস গুলোতে স্বল্প মেয়াদে দ্বিগুণ-তিনগুণ মুনাফা দেওয়াসহ কিস্তিতে ফ্ল্যাট, জমি দেওয়ার নামে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করা হয়। গত ছয় বছর আগে থেকে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের জমা টাকা বা লভ্যাংশ না দিয়ে কৌশলে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়। ক্রমান্বয়ে সব অফিসে তালা লাগিয়ে এক পর্যায়ে নগরীর বাসাবাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকসহ কর্মকর্তারা। কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডের প্রধান কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। কোনো কোনো স্থানে অফিস বন্ধ করে সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 − 4 =