এ ভোট লজ্জার ভোট

0
419

ছাত্রলীগ প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা এক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ঢাবির কুয়েত মৈত্রী হল।

 

ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই রাতের আঁধারে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্সে ভরে রাখার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানিকে অবরোধ করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা প্রোভিসির প্রাইভেটকারটি জাল ভোটের ব্যালট দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। তারা বলছে- এ ভোট লজ্জার ভোট। প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকেও হলে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, সকালে খালি বাক্স দেখাতে বললে- গড়িমসি করায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে রিডিং রুম থেকে ছাত্রলীগ প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেয়া ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। প্রোভিসি ও প্রক্টর দুজনেই আগাম জাল ভোটের সতত্যা পাওয়া গেছে বলে স্বীকার করেছেন। তারা বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। একই সঙ্গে সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিতেরও ঘোষণা দেন। সকাল ৮টায় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রীদের প্রতিবাদের মুখে এই হলে ভোটগ্রহণ শুরুই করা যায়নি। এ বিষয়ে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এসএম মাহফুজুর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী নুরুন্নাহার পলি অভিযোগ করেন, একটা হলে এক বস্তা ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। ভোটের আগেই যেখানে কি না আগে থেকে সিল মারা হয়েছে। এ বিষয়টা আমরা প্রক্টরকে জানিয়েছি। হল প্রভোস্টকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেয়নি। যখন আমরা ব্যালটসহ মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছি, তখন তারা ভোট স্থগিত করেছে। ভোট স্থগিত করবে কী, তারা ভোট শুরুই করতে পারেনি। হল প্রশাসনের যোগসাজসে ছাত্রলীগ প্যানেল এ কাজ করেছে বলেও অভিযোগ তার।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 − 7 =