পাবলিক পনীক্ষার সময় ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার দাবি

0
431

বেলায়েত হোসেনঃ এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশের উদ্ধেগে ২০শে মার্চ ২০১৯, রোজ বুধবার, সকাল ১০ ঘটিকায় (এ্যাসেব) এর নিজ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন এ্যাসেব এর আহবায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমাদুল হক (ই হক স্যার)। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে মূল সমস্যা যা ছিল তার মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস অন্যতম।

বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। খুশির বিষয় হল এক বৎসর ধরে আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুষ্ট চক্র থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছি। এজন্য সর্বস্থরে সচেতনতা তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বর্তমান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা মনে করি ফ্রিল্যান্সার দ্বারা পরিচালিত ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া বা না হওয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। আমরা যারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করি বা শিক্ষা প্রদান করি তারা কেহই কোন প্রকার স্কুল, কলেজ অথবা ইউনিভাসিটির শিক্ষকতা করি না। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা কোচিং সেন্টারকে জড়ানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত, তা আলোচনার দাবি রাখে। সম্প্রতি পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সবচেয়ে বড় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রটির মূলোৎপাটন করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এ চক্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, সাবেক ক্রিড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছামী, বিকেএসপির রবখাস্থ হওয়া আর এ কর্মকর্তা অলিপ কুমার বিশ্বাস, ৩৮তম বিসিএসে নন ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহীম মোল্লা, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হাফিজুর রহমান হাফিজসহ অরও অনেকেই। এখানে লক্ষনীয় যে, এদের একজনও কোচিং সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্ট না। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ আরো বলেন, কোন একটি ক্লিনিকে যদি ভুল চিকিৎসার কারনে রোগী মারা যায় তাহলে কি সেই কারনে সমস্ত ক্লিনিক বন্ধ করা ঠিক হবে। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা যেমন সমাধান নয়, তেমনি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের জন্য ঢালাও ভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে রাখা গ্রহন যোগ্য সমাধান হতে পারে না। ২০১২ সালের নীতিমালা অনুসারে দেশের সরকারি কিংবা বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষরা কোচিং করাতে পারবেন না। তবে, যে সব ব্যক্তি কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত নন, শুধু তারাই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোচিং করাতে পারবেন বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এমতাবস্তায় এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশনের পক্ষ থেকে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিকট ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠারগুলো পাবলিক পরীক্ষার সময়ও অব্যাহত রাখার দাবি জানান তারা। তারা বলেন, এতে করে শিক্ষা বৈষম্য হ্রাস পাবে, শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার গতি অব্যাহত থাকবে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদির বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, সংগঠনটির যুগ্ম আহবায়ক, মাহমুদুল হাসান সোহাগ। অহবায়কদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, শামসোয়ারা ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − 10 =