সুনামগঞ্জে মামলা থাকার পরও সোর্সরা বহাল তবিয়তে

0
490

নিজেস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে প্রায় ১লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় কাঠের চালান আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু মাদকসহ পাঁচারকারী সোর্সদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরও তারা রয়েছে বহাল তবিয়তে।

 

এব্যাপারে বিজিবি,পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিেিনর মতো আজ ২২.০৩.১৯ইং শুক্রবার দুপুর ২টায় জেলার তাহিরপুর উপজলোর বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী দুধেরআউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া ও তার সহযোগী ইয়াবা মামলার জেলখাটা আসামী লালঘাট গ্রামের কালাম মিয়া ভারত থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা,মদ ও কাঠের চালান পাঁচার করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের ১শ গজ দূরে অবস্থিত নতুন বাজারে নিয়ে প্রকাশে মজুত করে বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১টি ফালি থেকে ১৫০টাকা, থানার নামে ৫০টাকা, সাংবাদিকদের নামে ৫০টাকা, ১কার্টন মদ থেকে ৫শ টাকা,১হাজার পিছ ইয়াবা থেকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে ওপেন বিক্রি করার সময় হাবিলদার হুমায়ুন অভিযান চালিয়ে প্রায় ১লক্ষ টাকা মূল্যের ৪০পিছ ভারতীয় কাঠের ফালি জব্দ করেন। কিন্তু মাদকদ্রব্য ও চাঁদার টাকাসহ দুধেরআউটা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়াসহ তার সহযোগী কালাম মিয়াকে গ্রেফতার করেনি। সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া ও কালাম মিয়া সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা,মাদক ও পাথর পাচাঁর করাসহ পুলিশ ও বিজিবির নামে চাঁদাবাজি করে হয়েছে কোটিপতি। গত ০১.০২.১৯ইং শুক্রবার সকাল ১০টায় তাহিরপুর থানায় মাদক মামলা নং-১ দায়ের করে ইয়াবার চালানসহ সোর্স কালাম মিয়াকে জেলহাজতে পাঠানোর পর গত ৩দিন আগে সে জামিনে বের হয়ে এসেছে। আর সহাযোগী জিয়াউর রহমান জিয়াকে চাঁদা তুলার সময় ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে চাঁদাবাজি মামলা নং-১৬৩/০৭ দায়ের করে দীর্ঘদিন আগে জেলহাজতে পাঠানোর পর সে জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য আরো বাড়িয়ে দিলেও বিজিবি ও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে জানাগেছে। তাদের সিন্ডিকেডের সদস্যরা হলেন-কয়লা পাচাঁর মামলা নং-২০১/১৫ এর আসামী লালঘাট গ্রামের জানু মিয়া, কয়লা পাচাঁর মামলা নং-১০৩/১৭ এর আসামী লাকমা গ্রামের বাবুল মিয়া,বিজিবির ওপর হামলার মামলা নং-১০৭/১৪ ও মাদক মামলার আসামী লালঘাট গ্রামের আব্দুল আলী ভান্ডারী,অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী লাকমা গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল,রজনীলাইন গ্রামের ফিরোজ মিয়া ও বড়ছড়া গ্রামের কামাল মিয়া। এছাড়াও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে লাউড়গড় ও চাঁনপুর সীমান্ত দিয়ে ওপেন মদ,গাঁজা, হেরুইন,ইয়াবা,অস্ত্র,গরু,ঘোড়া,নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও লড়ি বোঝাই করে পাথর পাচাঁর করছে মাদক মামলার জেলখাটা আসামী চাঁনপুর গ্রামের সোর্স আবু বক্কর,তার সহযোগী বারেকটিলার সোর্স রফিকুল, লাউড়গড় গ্রামের কয়লা ও মাদক মামলার আসামী সোর্স নুরু মিয়া,জজ মিয়া,এরশাদ মিয়া,শহিদ মিয়া,দিলহাজ মিয়া,চাঁদাবাজি মামলার আসামী সোর্স রফিকুল ইসলাম নবীকুল,আমিনুল,আনসারুল, সেলিম মিয়া,জসিম মিয়া,আক্তার মিয়াসহ মোট ১১জন। তারা বিজিবির সহযোগীতায় সিন্ডিকেডের মাধ্যমে আলোচনা সাপেক্ষে ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য করছে বলে জানাগেছে। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন, সীমান্ত চোরাচালানীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 3 =