Site icon Aparadh Bichitra

দশমিনায় আহসানিয়া মিশনের ম্যাক্স নিউট্রিশন ওয়াসের গোল টেবিল আলোচনা

ফয়েজ আহমেদ দশমিনা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আজ ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হল স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে গোল টেবিল ম্যাক্স নিউট্রিশন ওয়াস আলোচনা। দশমিনা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বড় গোপালদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহমেদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে টেবিল আলোচনার বিশেষ অতিথিরা ছিলেন, প্রেস ক্লাব সভাপতি রিপন কর্মকার সমকাল,এইচ এম ফোরকান যুগান্তর,রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ফয়েজ আহমদে , এসটিভি বাংলা,পিএম রায়হান বাদল এনজিও সমন্বয়কারী প্রমূখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,দশমিনায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। ইতিপূর্বে বাস্তবায়িত “ম্যাক্স ভ্রালু ফর ওয়াশ এবং ম্যাক্স ওয়াশ টু ” এর অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও উন্নয়নের চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছানো। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দশমিনা উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে এর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানান,অত্র প্রকল্পের ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম বারী। জানাগেছে নেদারল্যান্ড এর একটি সুখি পরিবারে জন্য নেয়া ম্যাক্স ছোট বেলায় বাবা সিফেন এবং মা ইয়োকার সাথে বেড়াতে আসেন বাংলাদেশে। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিনতি বা বিধি ম্যাক্সের সাথে না থাকায় বাংলাদেশের পানিতে গোসল,খাওয়া-দাওয়া কিংবা হাত-পা ধোঁয়ার যে কোন উপায় একটি পানি বাহিত মরনঘাতি ব্যাধী বাসা বেধেঁ বসে নিস্পাপ শিশু ম্যাক্সের শরীরে। অসুস্থ্য হয়ে পরে ম্যাক্স। নেয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। বাবা-মা ম্যাক্সকে নিয়ে দেশে ফিরে গেলেন ঠিকই,কিন্তু ততক্ষনে বাবা-মার বড় আদরের ধন শিশু ম্যাক্সের জীবন প্রদীপ নিভে গেলে, শোকাহত মা-বাব স্থানীয় চিকিৎসকদের নিয়ে একটি গবেশনামুলক বোর্ড গঠনের অনুরোধ জানান। ম্যাক্সের কেন এ পরিনতি ? চিকিৎসক বোর্ড এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়যে,ম্যাক্স বাংলাদেশের একটি পানি বাহিত রোগে আক্রন্ত হয়ে মারা যান। সেখান থেকে মা ইয়োকা এবং বাবা সিফেন সিদ্ধন্ত গ্রহন করেন,আমরা এতটা ভিত্তবান হয়েও আমাদের সন্তনকে বাচাঁতে পারিনি। বাংলায় না জানি এভাবে এই মরন ব্যাধী রোগে আক্রন্ত হয়ে কত শত মায়ের বুক খালি হয়েছে। তাই মা-বাবা তাদের সম্পত্তির একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে দান করার মনতস্ত করেন। অবশেষে নিজেদের এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতায় বেশ একটি বড় অংকের অর্থ বাংলাদেশ সরকারের সাথে পরামর্শক্রমে তুলে দেন ১৮৫৮ সালে মানব কল্যানে প্রতিষ্ঠিত তৎকালীন একমাত্র এনজিও আহসানিয়া মিশনের হাতে। যে সুত্রের আলোকে এ প্রকল্পটির নামকরন করা হয় “ ম্যাক্স নিউট্রিশন ওয়াশ” যা প্রথম ধাপ শেষ করে এখন দ্বিতীয় ধাপের কাজ এগিয়ে চলেছে। দশমিনা উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের মোট উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা-৭৯১৪টি। মোট সদস্য সংখ্যা পুরুষ-১৮৫৭৯জন এবং মহিলা ১৮৫০৯২ জন। এ প্রকল্পের কর্যক্রম চলবে ২০২০ সাল পর্যন্ত জানালেন,প্রকল্প ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম বারী।