রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী ক্লিনিকে আবারো আরিফুল ইসলাম আরিফ নামের এক ভুয়া টেকনিশিয়ানকে দিয়ে হরমোন পরীক্ষা দেওয়ার গুরত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা ক্লিনিকটি প্রায় ২ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রৌমারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০মার্চ (শনিবার) দুপুরের দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কলেজপাড়া রৌমারী ক্লিনিকে।
এলাকাবাসি ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মার্চ মাসের ২তারিখে আরিফ রৌমারী ক্লিনিকে হরমোন টেকনিশিয়ান হিসেবে যোগদান করেন। সে নিয়মিত হরমোন বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসছে রোগীদের। ইতোমধ্যে এই পরীক্ষার সঠিক রিপোর্ট না পাওয়ায় রোগীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে রোগীর স্বজনরা খোজ নিতে গিয়ে দেখে তার টেকনোলজি বিষয়ে কোন সনদপত্র নাই। ঘটনা মুহুর্তে মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসি ক্লিনিকটি অবরুদ্ধ করে। পরে সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ভুয়া টেকনিশিয়ান আরিফুল ইসলাম আরিফফের কাছে সনদপত্র দেখতে চাইলে সে কোন সনদপত্র দেখাতে পায়নি। ফলে অবস্থার আরো বেগতিক সৃষ্টি হলে রৌমারী ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট মোবারক নামের এক কর্মচারী ভুয়া টেকনিশিয়ানকে কৌশলে নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেন। পরে রৌমারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও অভিযুক্ত আরিফুলকে আটক করতে পারেনি।
উল্লেখ্য থাকে যে, ওই ক্লিনিকে এর আগেও একাধীকবার ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর সময়ে একাধীক মা ও শিশু সন্তান সিজার করার সময় মারা যায়। এ নিয়ে এলাকাবাসি বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন। প্রশাসনের পক্ষে নামকায়স্ত তদন্ত টিম গঠন করা হলেও অজ্ঞাত কারনে ফাইলটি ধামাচাপা পড়ে যায়। ফলে ক্লিনিকের মালিক ও ক্লিনিকের জমজমাট ব্যবসা অব্যাহত থাকে। এলাকবাসির দাবী অনতিবিলম্বে মানুষ মারা কারখানা ওই রৌমারী ক্লিনিকটি বন্ধের জোড়ালো দাবী জানান।
এব্যাপারে রৌমারী থানার (ওসি) তদন্ত রহুল আমিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে সড়িয়ে দেই। তবে অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানকে আটক করতে পারিনি।
এবাপারে রৌমারী ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার মোমেনুল ইসলামের স্ত্রী জীবন নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবাপারে রৌমারী ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোমেনুল ইসলাম (হুমায়ন)এর সাথে মোঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।