জেনে নিন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে করনীয় কি

1
693

মানবদেহে বয়স ও লিঙ্গ অনুসারে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ভিন্ন। সাধারণত জন্মের সময় নবজাতক শিশুর দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ থাকে প্রতি লিটারে ২০০ গ্রাম।

 

পরবর্তীকালে তিন মাস বয়স থেকে তা কমতে থাকে এবং প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। পরে প্রাপ্ত বয়সের সময় হিমোগ্লোবিন আবার বাড়তে শুরু করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি লিটারে ১৩০-১৮০ গ্রাম। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ১১৫-১৬৫ গ্রাম। এ ক্ষেত্রে পুরুষ কিংবা মহিলা যেই হোক যদি কারো হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি লিটারে ৭০ কিংবা ৮০ গ্রাম হয়ে যায় তবে সে ক্ষেত্রে মারাত্মক অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাই রক্তে যেন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা না কমে সেদিকে সচেতন থাকা জরুরি। আমরা আজ পাঠকদের জন্য আলাপ করবো কোন কোন খাবার খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকবে।

লৌহযুক্ত খাবার-

শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি।

ভিটামিন সি-

ভিটামিন সি- এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তা ছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া লোহা পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি (ব্রকোলি), আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

ফলিক অ্যাসিড-

ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

বিট-

হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম। এর পুষ্টিমান শরীরের লাল রক্তকণিকা বাড়ায়।

আপেল-

দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরও নানা প্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খান। অথবা সমানুপাতে আপেল ও বিটের রস মেশাতে পারেন।

ডালিম-

আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডালিমের জুস করেও খেতে পারেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 1 =