ফেনী হলো ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের নিরাপদ জনপদ : বিএনপি

0
519

ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় জড়িতরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী বলে মন্তব্য করে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির খুনিদের বাঁচাতে নানাভাবে তৎপরতা চলছে।

 

এ নিয়ে খবরও প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন দিক থেকে হত্যা মামলার আসামি ও তাদের দোসরদের পক্ষে একটি গ্রুপ মাঠে নেমেছে। সোনাগাজীর সেই মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন শামীম, যুবলীগ নেতা নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, আবদুল কাদের ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল হক ও প্রভাষক আফসার উদ্দিনের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে ওই গ্রুপটি। শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, তারা রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরণাও দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। ঘটনায় জড়িত সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী। তিনি বলেন, ফেনী হলো ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের নিরাপদ জনপদ। সেখানে আওয়ামী লীগের গডফাদারদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা তাদের নিজেদের দলের নেতাকেই আগুনে পুড়িয়ে ঝলসিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে একসময় সারা দেশে আলোচিত হওয়া ফেনীতে রাজনৈতিক হত্যা, গুম, অপহরণ, দিনে-দুপুরে অস্ত্র উঁচিয়ে ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল লুট, বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারে অস্ত্রের প্রকাশ্য মহড়া, সোনার দোকানে ডাকাতি, ব্যাংকের টাকা ছিনতাই ছিল এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ও সন্ত্রাসের গডফাদারদের সন্ত্রাসযজ্ঞের বিরোধিতা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরই প্রাণভয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে যেতে হয়েছে- গত দুই দশকের খতিয়ান দেখলে এমন ঘটনাও পাওয়া যাবে ভুরি ভুরি। রিজভী বলেন, প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর নৃশংসভাবে হত্যার জন্য এখানে একসময় নির্ধারিত ছিল ‘মৃত্যুকূপ’। ড্রিল মেশিন দিয়ে মানুষকে ছিদ্র করে মেরে ফেলার রেকর্ডও রয়েছে ফেনীতে। খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ- দুই, তিন কিংবা চার সন্তানের জননীরাও রেহাই পাচ্ছেন না গণধর্ষণ থেকে। রিজভী বলেন,সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলছেন। প্রতি এহেন আচরণ সরকারের প্রতিহিংসামূলক মনোবৃত্তিরই পরিচায়ক। রাতের ভোটের প্রধানমন্ত্রী তাঁর কোন প্রতিদ্বন্দ্বি রাখতে চান না। আর এজন্য বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে ও সুচিকিৎসায় বাধা দিচ্ছে সরকার। মূল কারণ একটাই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কৌশলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে আবারও পুরোপুরি বাকশালের নামে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমি আবারও সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 1 =