দিল্লি থেকে হরিদ্বারে এসে মধুচক্রের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল একটি দল৷ যদিও সেই চক্র ফাঁদ পাতার পরেই পুলিশের জালে পড়ে যায়। ঘটনায় চারজন মহিলাসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
চার যুবতীর মধ্যে একজন এই দলের প্রধান বলে জানা গিয়েছে৷ বাকী তিন যুবতী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গেছে৷ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ খবর পায় ঋষণনাথ নগরের একটি হোটেলে চার যুবতী ও এক যুবক সকাল চারটের সময় এসে উঠেছে। এদের হাবভাব বেশ সন্দেহজনক বলে সহজেই নজরে পড়ে যায়৷ এরপরেই থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপরেই জিজ্ঞাসাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তদের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি, মহিলাদের কলগার্ল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এরপরেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নয়াদিল্লির রামদাসনগরের বাসিন্দা সুরেন্দ্র পাল ও দিল্লির চন্দনবিহারের সিমরন লিভ-ইন রিলেশনে থাকে৷ এরা দীর্ঘসময় ধরে নজর এড়িয়ে এমন ব্যবসা চালাত৷ যে তিন যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও সম্পর্কে একে অপরের আপন বোন বলে জানা গিয়েছে৷এদের মধ্যে বড় বোন প্রায় এক বছর আগে দিল্লিতে কাজের সন্ধানে আসে৷ সেখানে এসে তার পরিচয় সুরেন্দ্র ও সিমরনের সঙ্গে তারা তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে এই ব্যবসায় নিয়ে আসে বলে অভিযোগ৷ এরপর প্রায় আড়াই মাস আগে এরা ওই যুবতীর আরও দুইবোনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিয়ে এসে এই ব্যবসায় সামিল করে বলে অভিযোগ৷