নিজেকে ধর্ষণের প্রতিশোধ নিল রোমালী

0
428

ধর্ষনের শাস্তি দিতেই দেড় বছর আগে আশুলিয়ার গার্মেন্ট কর্মী মাহাবুরকে হত্যা করে রোমালী বেগম ও তার স্বামী। দীর্ঘ দেড় বছর পর এ হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই।

 

পাশাপাশি চাপাইনবাগঞ্জ থেকে মাহবুর হত্যার সঙ্গে জড়িত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চাপাইনবয়াবগঞ্জ নাচোল থানার শরুল্লা গ্রামের রইসুদ্দিনের ছেলে শামীম আক্তার (৩৬) ও তার স্ত্রী রোমালী বেগম (২৬)। হত্যার শিকার পোশাক শ্রমিক মাহাবুর কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার হোকডাংগা দালালপাড়া গ্রামের জাহিদ আলীর পুত্র। এ ব্যাপারে মাহাবুরের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় চার জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পিবিআই গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার পিবিআই ঢাকা জেলার সাব ইন্সপেক্টর(এসআই) সালেহ ইমরান জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার বাদী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করলেও তদন্তকালে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না যাওয়ায় মামলাটি একটি ক্লুলেস মামলায় পরিনত হয়৷ দীর্ঘ তদন্তের পর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতা নিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত উল্লেখিত আসামিদের সনাক্ত করা হয়। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়েছে । তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাহাবুর তার দুই জন সহযোগি নিয়ে ঘটনার প্রায় মাস খানেক আগে রোমালী বেগমকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে৷ বিষয়টি তার স্বামী শামীম আক্তার জানতে পারলে উভয়েই প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুজতে থাকে৷ এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ১৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রোমালী বেগম কৌশলে মাহাবুর কে আশুলিয়া থানার নিশ্চন্তপুর এলাকার আমেনা মসসিদ থেকে অল্প দূরে একটি ঝোপ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা রোমালীর স্বামী শামীম এবং রোমালী দুজনেই মাহাবুরকে শ্বাসরুদ্ধ করে এবং সুতা কাটার যন্ত্র দিয়ে গলা, পুরুষাঙ্গ এবং পেটে আঘাত করে হত্যা করে। পরে তারা ওই দিনই পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =