নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফেরদৌস

0
421

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।

 

ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশটির নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছে। ভিসা আইনের শর্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় বাংলাদেশি এই চিত্রনায়ককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। ভারতের সরকারি সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) বলছে, অন্য দেশের নাগরিক তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছে; এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিজিওনাল ফরেইনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন চেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা জেপি মজুমদার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, ‘ভারতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশি অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস একজন বাংলাদেশিকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছে। এছাড়া ভিসা-সংক্রান্ত আইন না মানায় তাকে (ফেরদৌস) গ্রেফতার করা উচিত।’বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইন্ডিয়া ট্যুডেকে বলেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারের এমন কৌশল আগে কখনো দেখিনি। কাল হয়তো ইমরান খানকেও (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) প্রচারে ডাকবে তৃণমূল। ভোট কম পড়লে রোহিঙ্গাদেরও ডেকে আনতে পারেন তিনি।’ তার প্রশ্ন, ‘ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারে এভাবে বিদেশি তারকা আসতে পারেন? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আইন মানেন না; আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’ গত রোববার ফেরদৌস পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন টালিউড তারকা অঙ্কুশ হাজরা ও পায়েল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা সঞ্জয় বসু বলেছেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে প্রার্থীর পক্ষে ফেরদৌস প্রচার করেছেন সেই তৃণমূল নেতা কানাইলাল আগরওয়ালের প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন করেছে বিজেপি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়গঞ্জ আসনে বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী, কংগ্রেসের প্রার্থী দীপা দাসমুন্সি আর সিপিএম প্রার্থী বর্তমান বিদায়ী সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম। তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বিজেপির অভিযোগের জবাবে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই এটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে হয়েছে। এতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রশ্ন নেই।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + nine =