রংপুর বিভাগীয় অনুসন্ধানী টিমঃ রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ১৯ নং- ওয়ার্ডের রংপুর মহানগর রাধাবল্লব (বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ক্যাম্পাস) শ্রী রিপন বাসফোর (৩০) একজন নিরহ সহজ সরল ব্যক্তি । রিপন বাসফোর গত ২০১২ সালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালযে় চতুর্থ শ্রেণীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মচারী হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে । একই ১৯ নং ওয়ার্ডের রংপুর মহানগর রাধাবল্লব (বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ক্যাম্পাস) প্রতিবেশী চন্দন কুমার এর স্ত্রী মালা দেবী এর কন্যা সুমি রানীকে রিপন বাসফোর পিছনে লেলিয়ে দেয় এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জীবনের কলঙ্কর ফাঁদ তৈরি করে।
এক পর্যায়ে শ্রী রিপন বাসফোর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন । গত ০৯/০৮/২০১৭ ইং সালের নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দায়ের করে, ওই মামলায় শ্রী রিপন বাসফোর কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এমত অবস্থায় কারাগারের সুমি রানীর মা যোগাযোগ করে বলে, যদি তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, তাহলে তোমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেবো এবং চাকরিও তোমার যাবে না। উপায়ন্তর না পেয়ে সরকারি চাকরির সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমার পরিবারের সিদ্ধান্তে আমি গত ৩১/০৮/২০১৭ ইং সালে উভয়ের সমঝোতার মাধ্যমে বিয়ের পর মামলা তুলে দেওয়ার শর্তে আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রি ও এফিডফিডের মাধ্যমে বিয়ে করি সুমি রানীকে। বিয়ের পর আমার স্ত্রী সুমি রানীর কোলজুড়ে আসে একমাত্র কন্যা সন্তান। ইতিমধ্যে এক বছর চলে যায় আমি তাকে মামলা তোলার কথা বললে আমার স্ত্রী ও তার মার যোগসাজশে আবার নতুন নাটক শুরু করে। আমার সরকারি চাকরির বেতন এর সব টাকা দাবি করে মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন । আমার প্রতি সব সময় ক্ষিপ্ত হয়ে কারণে-অকারণে গায়ে হাত তোলে আমি তাকে শাসন করতে গেলে আমাকে আবারো বলে তোমাকে যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতনের মামলা দেবো জেলহাজতের ভাত খাওয়াবো বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয় । এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর কলহ বিবাদকে কেন্দ্র করিয়া শ্রীমতি মালা দেবীর ষড়যন্ত্রে ও কু-পরামর্শে তার মেয়ে সুমি রানীকে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ)/৩০ ধারা মতে তাহার স্বামী রিপন বাসফোর ও তার বড় ভাই শ্রী রতন বাসফোর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলা দায়ের করেন । যাহার থানা মামলা নং-৩৫, জি আর নং-১৪১/১৯ । মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে । গত ৩১/০৩/২০১৯ ইং ঘটনার তারিখ সময় অনুমান ৫ টার সময় জি আর ১৪১/১৯ নম্বর মামলার তদন্তকারী অফিসার ঘটনা চূড়ান্ত তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলার ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে উপস্থিত সকল ব্যক্তিগণকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে, মামলার ঘটনা সত্য নয় বরং ঘটনা মিথ্যা বলে সাক্ষীগণ সাক্ষ্য প্রদান করেন । তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ অন্তে ঘটনাস্থল হইতে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রী রতন বাসফোর উপর সুমি রানী ও তার মা মালা দেবীর গং সহ হাতে থাকা লাঠি দ্বারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারডাং করিয়ে গুরুতর জখম করে । হাতে টাকা ঝাড়ু নিচে কাঠের হাতল দিয়ে আঘাত করে নাকের উপরিভাগের হাড় ভাঙ্গা গুরুতর মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়ে পড়ে । গুরুতর অবস্থা হওয়ার কারণে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। উপায়ন্তর না পেয়ে শ্রী রতন বাসফোর বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দণ্ডবিধির ৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭ ধারার মামলা আনয়ন করে। (ফলোআফ চলবে)………..