কামরুল হাসান রুবেলঃ এক কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে সাভারের আশুলিয়ায় একটি রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই যুবলীগ নেতাকে প্রধান আসামীকরে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনার পর থেকে ওই যুবলীগ নেতা পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় গত কয়েকদিন ধরে ইয়ারপুর ইউনিয়নের জিরাবো জিরো পয়েন্ট থেকে তৈয়বপুর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কয়েক কোটি টাকার অর্থায়নে একটি রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন সাগর বিল্ডাস ও এমডিই। এসময় সাগর বিল্ডাস এর ইঞ্জিনিয়ার মাজহারুল ইসলাম এর কাছে প্রকাশ্যে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সোয়েল মোল্ল্যাসহ তার সহযোগীরা। এসময় ওই ইঞ্জিনিয়ার চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসীদের নিয়ে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। এদিকে ওই যুবলীগ নেতা রাস্তার কাজ করা সাগর বিল্ডাসের কর্মচারী রাকিব মিয়া (২৪),কল্লাদ মিয়া (২৩) ও মাজহারুল মিয়াকে (৩৮) উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এঘটনার পর থেকে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় ওই এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এঘটনার পর আজ সাগর বিল্ডাসের ইঞ্জিনিয়ার যুবলীগ নেতা সোহেল মোল্ল্যাকে প্রধান আসামী করে বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ্য করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল মোল্ল্যা পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে সাগর বিল্ডাসের ইঞ্জিনিয়ার মাজহারুল ইসলাম বলেন সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমরা এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় এসে বসবাস করা শুরু করেছি। এঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতাকে একাধীক বার ফোন করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্য ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু তিনি আরও বলেন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা কোন দলের লোক হতে পারে না।