বাংলাদেশ বিমান ও বৈদেশিক এয়ার লাইন্সগুলোর অনিয়ম, দূর্নীতি ও টিকেট সিন্ডিকেট বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

0
826

এজাজ রহমানঃ ২০ডিসেম্বর-২০১৮ হইতে কোন পূর্ব ঘোষনা কিংবা নোটিশ ছাড়াই বিমান ও বৈদেশিক এয়ারলাইন্সগুলোর যোগসাজসে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী “সিন্ডিকেট” করে টিকেটের কৃত্রিম সংকট তৈরী করছে। ফলে বিশ হাজার টাকার টিকেট একলাফে ষাট হাজার টাকায় উন্নীত হয়। টিকেট সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে প্রতিদিনই টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে ডলার’র সাথে টিকেটের সম্পর্ক। ডলারের মূল্য বৃদ্ধিপেলে টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি পায়। অথচ বাংলাদেশে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশ্বের কোথাও এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি নাই। ফলে ছুটিতে আসা রেমিটেন্স যোদ্ধারা ফিরতি টিকেটের অতিরিক্ত টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা দারুন বেকায়দায় পড়েছে। এই অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রবাসী ও বিমান মন্ত্রণালয় নির্বিকার। প্রতিদিন সিন্ডিকেট প্রবাসীদের হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জসিম মাহমুদ। তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন যে, গত কয়েকদিন আগে মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে দেখেন ৪৫০ সিটের বিমানে যাত্রী মাত্র ১৭৩ জন। অতচ বিমার কতৃপক্ষ সিট সংকটের অজুহাতে টিকেট বিক্রয় বন্ধ রাখে। রাস্ট্রের পতাকাবাহী একমাত্র বাহন বিমান কে ধ্বংসে কতিপয় কুচক্রী মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রচুর যাত্রী থাকার পরও বিমানের অব্যাহত লোকসান তারই স্বাক্ষ বহন করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা মহোদয়ের হস্তক্ষেপছাড়া এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। সম্ভব নয় প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের স্বার্থ রক্ষা করা। বিমান ধ্বংস হলে বহিবিশ্বে আমাদের ইমেজ ক্ষুন্ন হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার জন্য আমরা কিছু দাবী ও সুপারিশ নিন্মে পেশ করলাম।
১) উপস্থিত সভাপতি, জসিম মাহমুদ, মহিউদ্দিন ভূইয়া সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি মন্ডলী সিরাজুল ইসলাম মজুমদার,জাকরিুল ইসলাম, মোঃ বাবলু, নূর আহমেদ ভূঁইয়া, বাবুল চৌধুরী আরো অন্যান্য বক্তিবর্গ। যাতায়াতের পথে প্রবাসীদের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। ২) দূতাবাস সমূহের মাধ্যমে বৈধ প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ৩) প্রবাসীদের যাতায়াতের সময় আলাদা ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ৪) ম্যানপাওয়ার সেক্টর কে ধ্বংসের হাত তেকে রক্ষা করতে সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে। ৫) বিমানকে গতিশীল করতে হবে এবং অলাভজনক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ করতে হবে। ৬) প্রবাসীদের পাসপোর্ট বিবেচনায় নিয়ে টিকেটের মূল্য কমাতে হবে ইত্যাদি।
১) বৈদেশিক এয়ার লাইন্স গুলোর সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন বিষয়ের চার্জ কমানো ও সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ২) বিমানকে গতিশীল করতে দূর্নীতিবাজ অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। ৩) কালোবাজারী করে যারা টিকেটের কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনলে পরিস্থিতি উত্তরণ অনেকাংশে সম্ভব। ৪) ওপেন স্কাই পলিসি চালু করা যেতে পারে। ৫) বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের রিজার্ভেশন ব্যবস্থা অটোমেশন ও নজরদারীতে রাখলে বিমান লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হবে। ৭) প্রবাসীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিমান যাত্রীর ভাড়া কমানো যেতে পারে। ৮) বিমানের টিকেট আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে চালু করা যেতে পারে। ৯) কোন এজেন্সীর কাছে অগ্রিম টিকেট বিক্রয় বন্ধ করা যেতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 − four =