এফবিজেও এর উদ্যোগে বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবস পালন

0
972

“আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি-বঙ্গবন্ধু” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বান্ধব বঙ্গবন্ধুর ঐ উক্তিকে সাংবাদিকদের স্বাধীনতার মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশা করি।

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবসে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের গণমাধ্যম কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে ৩রা মে বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবস পালন উপলক্ষে ফেডারেন অব বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট অর্গানাইজেন (এফবিজেও) এর অন্তর্ভূক্ত মতিঝিল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এজাজ রহমান সংসাদিকদের পক্ষে একথা বলেন। দেশের তৃণমূল এবং মধ্যম সারির সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় দেশব্যাপি সাংবাদিকদের ঐকবদ্ধ মিলিত সংগঠন গঠিত হয়েছে সারাদেশের তৃণমূল থেকে একটি কেন্দ্রীয় সাংবাদিক সংগঠন দেশ স্বাধীনের পরেই গঠন হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যবশত সেটি গঠন করার উদ্যোগ কেউ নেয়নি। যার ফলে রাষ্ট্রের সকল স্তরের উন্নয়ন হলেও তৃণমূল ও মধ্যম সারির সাংবাদিকদের দাবি দাওয়া যুগোপযোগী যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। সংবিধান কর্তৃক জাতির বিবেক বলে খ্যাত রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ সাংবাদিকগণ।

 

যদি তাই হয় তবে সেই সাংবাদিকরা আজ অবহেলিত কেন? কেন তৃণমূল ও মধ্যম সারির সাংবাদিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি ? যার ফলে রাষ্ট্রের সকল স্তরের উন্নয়ন হলেও তৃণমূল ও মধ্যম সারির সাংবাদিকগণ। যদি তাই হয় তবে সেই সাংবাদিকরা আজ অবহেলিত কেন? কেন তৃণমূল ও মধ্যম সারির সাংবাদিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি ? ফলে তৃণমূল এবং মধ্যম সারির সাংবাদিক ও সংগঠনগুলো ন্যায্যা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফেডারেশনের দাবি রাষ্ট্রের অপরাপর সংগঠন যেমন: আইনজীবীগণ আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন; ডাক্তারগণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন; ব্যবসায়ীগণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায়, সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে থাকাটা আবশ্যক। কারো সাথে বৈরিতা নয় বরং দেশ-বিদেশের যে কোন সাংবাদিক অথবা সংগঠন ও সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগীতা-সহমর্মিতার প্রতি গুরুত্বসহকারে প্রতিপালন করার প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ শতকরা ৯৫ ভাগ সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন । “সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের রক্ষায় মতিঝিল প্রেসক্লাব” এফবিজেও এর সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে তৃণমূল ও মধ্যম সারির সাংবাদিকদের দাবি দাওয়া নিন্মরূপ পেশ করে:

১। সংবিধান মোতাবেক ৪র্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের ১ম, ২য় ও ৩য় স্তম্ভের সাথে (১ম-মাননীয় সংসদ সদস্য, ২য়-প্রশাসন বিভাগ, ৩য় বিচার বিভাগ) তুলনামূলক মূল্যায়ন করতে হবে।
২। সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।
৩। দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের ন্যায় সাংবাদিকদের উন্নয়নে পৃথক বাজেট বরাদ্ধ দিতে হবে। যে বাজেট থেকে সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর কল্যাণে সংগঠনগুলোর ভবন নির্মাণ বা অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ডিজিটাইজেশন এবং উপকরণ সরবরাহ সহ সাংবাদিকদের ঝুঁকিভাতা, দূর্যোগ দূর্ঘটনায় সহযোগিতা, নিরাপত্তা, আবাসন সমস্যার সমাধান, দেশ-বিদেশ প্রশিক্ষণ, বৃদ্ধ বা অবসরকালীন পেনশন ভাতা প্রদান করা হবে।
৪। রাষ্ট্রীয়বাবে বিশ্ব মুক্তি গণমাধ্যম দিবস পালন করতে হবে।
৫। প্রকাশিত সংবাদ সংক্রান্ত যে কোন মামলার বিচারিক ক্ষমতা কেবলমাত্র প্রেস কাউন্সিলকে দিতে হবে।
৬। সাংবাদিকদের সার্বিক অধিকার রক্ষায় প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করার জন্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৭। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট যে কোন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংগঠনের ন্যায় ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটিকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

মতিঝিল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এজাজ রহমান মানববন্ধনে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের গণমাধ্যমকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে যেমন- সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করে আইডি নম্বর প্রদান করতে হবে, জাতীয় প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউটের অধীনে সাংবাদিক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত সংবাদ প্রকাশে রাষ্ট্রের স্বার্থে, জন কল্যাণে সংবাদ প্রকাশ করা। সরকার ও গণমাধ্যম কর্তৃক সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করতে হবে, ৬ষ্ঠ থেকে উচ্চতর ক্লাস সমূহে গণমাধ্যম বিষয়ক একটি অধ্যায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের পিআরও পদে প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়োগ করতে হবে, তালিকাভূক্ত সাংবাদিককে সরকার কর্তৃক মাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে, হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সাংবাদিক ও সংবদপত্র বহনকারী যানবাহন আওতাভূক্ত রাখতে হবে, প্রতিটি গণমাধ্যম সাংবাদিকদের অনুকূলে কল্যাণ ফান্ড গঠন করতে হবে, তদন্ত দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আগে কোন সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জাতীয় প্রেস কাউন্সিলে দায়ের করতে হবে, বিটিভি-বাসস ও বাংলাদেশ বেতারে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হবে, পত্রিকাগুলো সরকার পূর্বের ন্যায় প্রয়োজনী কাগজ বরাদ্দ দিতে হবে, জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধিদের সরকার ঘোষিত ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 + eleven =