বিশেষ প্রতিনিধি: রাজবাড়ী জেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের পারশাইল কাঠি গ্রামে এখনও সক্রিয় বিকাশের প্রতারক চক্রের সদস্যরা।এরা দিনে দুপুরে এলাকার ভিতরে কখনো ঘরে কখনো মাঠের বাগানে চিয়ার পেতে বসে নিরীহ মানুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ঔ গ্রামের কিছু মানুষের অভিযোগ এই বিকাশের প্রতারক চক্রের সদস্যরা অনেক আগে থেকেই এই অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারে না।প্রতিবাদ করলেই একা রাতের আধারে তাদের খতি করে।।মাঠের ফসল নষ্ট করে।এমনকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমনকি এদের পরিবারের সদস্যরাও এদেরকে পুরো সাপোর্ট দেয় বলে জানান এলাকার কিছু নিরীহ মানুষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন আমাদেরকে জানান এদের পরিবার এদেরকে পুরো সাপোর্ট দেয় এবং পরিবারের সদস্যরা ভালোমানুষের মুখোশ পড়ে ঘুড়ে বেড়ায়।এই সকল অভিভাবকদের কারনে তাদের সন্তান এই সকল অপকর্মের সাহস পায়।এরা আরো বলেন এই চক্রের সদস্যরা মাদক কেনাবেচা এবং সেবনের সাথে। এদের অপকর্মের কথা গ্রামের সকলেরই জানা কিন্তুু নিজেদের সন্মানের জন্য কেউ কিছু বলে না এদেরকে।
রাজবাড়ী জেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করি বাহিনীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বল্লে তারা জানান এদের বিরুদ্ধে অভিজান চলছে।তারা বলেন এদের বিরুদ্ধে কেউ মামলা বা অভিযোগ করেন না তাই বারবার এরা আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়।এইকারনেই অনেক সময় এরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে।
তরা বলেন এদের নামে কেউ বাদি হয়ে মামলা করলে এদের বিরুদ্ধে কটিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।এবং কঠোর শাস্তির আওতায় এনে এদের বিরুদ্ধে ব্যবসস্থা নেয়া যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আমাদেরকে এই চক্রের সদস্যদের নাম ঠিকানা বলেন। ১.মোঃতরিকুল ইসলাম বিপ্লব পিতা/মোঃ ছালাম মোল্লা,২.মোঃরাশেদ মোল্লা,পিতা/মোঃসাজাহান মোল্লা,৩.মোঃসজিব মন্ডল,পিতা/মোঃ তৈয়ব মন্ডল, ৪.মোঃইনামুল মোল্লা, পিতা/ মোঃমান্নান মোল্লা,৫.মোঃখোকন মোল্লা
মোঃ রাশেদ মোল্লা তার ফেসবুক পেজে নাম লিখেছেন প্রিন্স সাহনেওয়াজ রাসেদ।এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড পেজে।এবং নিজেকে আওয়ামী ছাত্র লীগের কর্মী দাবি করেন।তার ফেজবুক পেজে লিখা আছে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। দিন ইসলাম। মোঃ ইনামুল মোল্লা তার প্রোফাইল ব্যাকগ্রাউন্ডে টাকার ছবি পোষ্ট করেছেন। এবং নিচে লিখা লাইলাহা ইলাল্লাহু মোহাম্মদের রাসুলুল্লাহ (সঃ) এদের সাথে ছদ্দবেশে কথা বলে জানা যায় এরা প্রথমে বিকাশের এপ্স দিয়ে বিকাশ একাউন্ট নিশ্চিত করে তারপরে সেই নাম্বার গুলোতে ফোনকরেন কাষ্টামার কেয়ারের প্রতিনিধি সেজে।এবং বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায় এরা মাসে প্রায় ৮/১০ বার পতিতা পল্লিতে যায় আনন্দ ফুর্তি করার জন্য।সেখানে গিয়ে তারা মদ,ফেনসিডিল এবং বিভিন্ন ধরনের অপকর্মও করে। এরা বলে এরা এদের কন্ঠ ঠিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের নেষা করপ থাকেন।