স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘মদ আর নারীর সান্নিধ্য পেলে কিছু পুরুষ মানুষের হুশ থাকেনা’ এই কথাটিকে পুজি করে রাজধানীর প্রানকেন্দ্র মতিঝিলে বাংলাদেশ চা বোর্ড ভবনের ৫ম তলায় প্রতারনার কারখানা হিসেবে গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন সিএনএন বাংলাটিভির অফিস। মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলাতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মদ ও নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ।
সুত্র জানায়, সিএনএন বাংলাটিভির পরিচালক শাহিন আল মামুন প্রতারনার গ্র্যান্ডমাষ্টার। প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিতে ব্যবহার করেন মদ ও নারী সহ মন্ত্রী, এমপি, ডিসি ওসিদের নাম পরিচয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এর ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিককে তার লাইসেন্সবিহীন সিএনএন বাংলাটিভির চেয়ারম্যান, মতিঝিল থানার ওসি ফারুককে নিজের বন্ধু ও রাষ্ট্রপতির ভাগিনা পরিচয় দিয়ে করে যাচ্ছেন একের পর এক প্রতারনা। মামুনের প্রতারনার শিকার মানুষগুলো নারী কেলেংকারীর ফাদেঁ পড়ে প্রতিবাদ করার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। কারন মামুন প্রথমে রাষ্ট্রপতির ছেলেকে তার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং মতিঝিল থানার ওসি ফারুককে নিজের বন্ধু পরিচয় দিয়ে লোকজনকে কাছে টানে। অতপর মতিঝিল থানারই কয়েকজন সাদা পোশাকধারী অসাধু পলিশ সদস্যকে সাথে নিয়ে ঐ সমস্ত লোকের সাথে একসাথে বসে মদপান করে তাদেরকে আরো কাছে টানে। পর্যায়ক্রমে ঐ সমস্ত লোকদেরকে সুন্দরী রমনী (দেহব্যবসায়ী নারী) এর সাথে অফিসের ভেতর পারসোনাল রুমে গিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করিয়ে তা গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারন করে রাখে। আর এরই মাঝে চাকুরী, ব্যাংক লোন ও টেন্ডার পাইয়ে দেয়া, মামলাজট নিষ্পত্তি, জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, সিএনএন বাংলাটিভির পার্টনার ও রিপোর্টার বানানো সহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। কিন্তু এসব লোকজন যখন বুঝতে পারে তারা মামুনের প্রতারনার ফাঁেদ পড়েছে তখন আর তাদের প্রতিবাদ করা সুযোগ থাকে না। কারনে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে ঐ সমস্ত নোংরা ভিডিও দ্বারা পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করা সহ মতিঝিল থানার অসাধু পলিশ দ্বারা হুমকি ধামকি দিয়ে দাবিয়ে রাখা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামুন অফিসের ভেতর প্রতিদিনই মদ নারী দিয়ে আড্ডাখানা বসায়। যেখানে মতিঝিল থানার সাদা পোশাকধারী একাধিক দারোগা যুক্ত হয়। একদিকে টিভিরি সাইনবোর্ড, অন্যদিকে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি থাকায় কেউ তাদের বিরক্ত করার সাহস পায় না। এই সুযোগেই চলে সব রকম অনৈতিক কার্যকলাপ। মামুনের প্রতারনার অন্যতম ৪ সহযোগি হলো তারেক, মাসুদ, ইমরান ও রত্না আক্তার। মামুন বিগত ৮ মাস পূর্বে ফাতেমা জহুরী নামের এক মহিলাকে তার অফিসে চাকুরী দেয়ার কথা বলে একলাখ টাকা জামানত নিয়ে চাকুরী দেয়। ফাতেমা শুরু থেকে মামুনের প্রতারনা বুঝতে না পেরে চাকুরীতে যোদান করে। চাকুরী শুরু মাস দুয়েক পর থেকে মামুন ফাতেমাকে অনৈতিক কাজ করার কু-প্রস্তাব দেয় মামুন। কিন্তু মামুনের এমন প্রস্তাবে ফাতেমা রাজি না হওয়ায় তার ৬ মাসের বেতনের টাকা আটকে দেয়। বেতন না পেয়ে ফাতেমা চাকুরী ছেড়ে দিয়ে মামুনের কাছে জামানতের টাকা ফেরত চায়। ফাতেমার এমন দাবীতে মামুনের নির্দেশে তারেক ও মাসুদ তাকে শীলতাহানীর চেষ্টা করে, ইমরান তার গলার চেইন ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া সহ মারধর করে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়। এবিষয়ে ফাতেমা জহুরী মতিঝিল থানা পুলিশকে জানালে ওসি ফারুক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
ফাতেমার মতো একই ঘটনার শিকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানায়, মামুনের অফিসে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মদ ও দেহব্যবসায়ী নারীদের অনৈতিক কার্যকলাপ। মতিঝিল থানার একাধিক অসাধু দারোগাও ওই আড্ডাখানায় আসা যাওয়া করে। তাদের ভয়ে ভুক্তভোগিরা কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। চলবে…