এ সঙ্কট যদি দুর না হয় তাহলে সারাদেশে শিক্ষার ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে

0
488

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্তত ৮টি সঙ্কট রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন এমন কিছু বুদ্ধিজীবি ও সুধীজনরা। এ সঙ্কট যদি দুর না হয় তাহলে সারাদেশে শিক্ষার ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক- নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার এসব সঙ্কট তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব সঙ্কট ও সমাধানের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তারা চলমান সমস্যা উল্লেখ করে সেগুলো তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের উত্থাপিত সঙ্কটগুলো হলো- সরকারি কর্তৃত্ব; ইউজিসির কৌশলপত্রের কারণে সান্ধ্যকোর্স, বৈকালিক কোর্স, বিশেষ প্রোগাম চালু; স্বায়ত্তশাসনের অপব্যবহার; শিক্ষায় জিডিপির তুলনায় কম বরাদ্দ ও গবেষণায় তহবিল বরাদ্দ না থাকা; অস্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত; শিক্ষক নিয়োগে দলীয় বিবেচনায় ভোটার বৃদ্ধির প্রবণতা; ছাত্ররাজনীতির নামে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ এবং মুনাফামুখী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কারণে মান অর্জনে ব্যর্থ হওয়া। প্রসঙ্গত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই : উচ্চশিক্ষা, নীতিমালা, কাঠামো’ শীর্ষক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনভেনশন থেকে বর্তমানে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান ৮টি সঙ্কট চিহ্নিত করা হয়। এসব সঙ্কট মোকাবিলায় ৬টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সামিনা লুৎফা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক মানের অবনমন ঘটেছে বলে একটি ধারণা ধীরে ধীরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় রাজনীতি শিক্ষাগত মানের ওপরে প্রভুত্ব করছে। অল্প কয়েকটি বাদ দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল সনদ বিক্রির ভবনে পরিণত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কনভেনশনের আয়োজন করে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। শিক্ষক নেটওয়ার্কের সমস্যা সমাধানে ছয়টি প্রস্তাবও তুলে ধরেন তিনি। সমাধান প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র কর্তৃক সমাধান; ইউসিজির কৌশলপত্রে পরিবর্তন; বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আইনের সংস্কার; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যদূরীকরণ; পাঠদান ও গবেষণায় জবাবদিহিতার ব্যবস্থা; ভর্তি ও নিয়োগে পরিবর্তন করতে হবে। বক্তরা এসব সমস্যা সমাধানে আশু সরকারী পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানান। বলেন দেশে স্বার্থে দশের স্বার্থে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করলেই জাতি একটি সুনির্দিষ্ট মুক্তির দিশা পাবে। অন্যতায় যাবে অন্ধকাররের দিকে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 + two =