হাইকোর্ট বলেছে, দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলবেন, চোরকে চোর বলবেন

0
584

হাইকোর্ট বলেছে, দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলবেন, চোরকে চোর বলতে হবে। যদি এটা না বলা হয় তাহলে দেশ রক্ষা করা যাবে না। ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে এক মামলার শুনানিকালে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন রবিবার এ মন্তব্য করেন।

 

ঢাকা সিটি করপোরেশনের আইনজীবী কামরুন্নাহারের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলে, আমরা বায়ুদূষণ রোধে সড়কে পানি ছিটাতে নির্দেশ দিয়েছি। ওই আদেশ কিভাবে এবং কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটার অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছি। কিন্তু আপনি সিটি করপোরেশনের একটা চার্ট নিয়ে এসেছেন। আদালত বলেন, এই চার্ট অনুযায়ী তো দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ নাও করতে পারে। যেখানে আমাদের সংস্কৃতি রয়েছে সরকারি গাড়ির তেল চুরি করার। বাস্তবতা তো তাই বলে, নাকি বেশি ভালো হয়ে গেছি আমরা। এ কারণে সিটি করপোরেশনের এসব গাড়ির চালকরা সড়কে পানি ছিটাচ্ছে নাকি তেল চুরি করছে সেটা দেখবেন না। আদালত বলে, বায়ুদূষণ রোধে পানি ছিটানো শুধু আমাদের জন্য নয় আপনার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দরকার। যখন মানুষ বাইরে বের হয় তখন ধুলার দূষণে চলাচল করতে কষ্ট হয়। শুধু কি ভিআইপি সড়কে পানি ছিটানো হয়? অন্য কোন সড়কে তো এটা দেখা যায় না। শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সিটি করপোরেশনের অগ্রগতি প্রতিবেদন গ্রহণের সুযোগ নেই। ইতোপূর্বে কয়েকটি ধার্য তারিখে যে এফিডেভিট দিয়েছে আজকের এফিডেভিটের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এ পর্যায়ে সিটি করপোরেশনের আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলে, আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চেয়েছি। পানি কোথায় কোথায় ছিটানো হয়েছে সেই রিপোর্ট কোথায়? যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেটা দিয়ে তো কিছু বোঝা যায় না। এরপরই হাইকোর্ট দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে তলব করে। আগামী ১৫ মে তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে পানি ছিটানোর বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen − 10 =