অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরার গ্রন্থাগার ভবনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো। সেখানে অবস্থানরত সবাই তীব্র গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছিল, গ্যাসের লাইনে হয়তো বড় ধরনের ফুটো হয়েছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দেশের জরুরি বিভাগকে খবর দেয়া হলো। ছুটে আসলো ফায়ার সার্ভিস। গত শুক্রবারের ঘটনা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে গোটা লাইব্রেরি তোলপাড় করলো ফায়ার সার্ভিস। তারপর গ্যাসের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়া উৎসের আবিষ্কার ঘটলো। সেখানকার বায়ুমণ্ডলীয় পরীক্ষা শেষে সবাইকে ভবনে নিশ্চিন্তে প্রবেশের অনুরোধ জানালেন কর্মকর্তারা। গ্রন্থাগারের পক্ষ থেকে ফেসবুকে উৎসের জানান দেয়া হলো- ওটা ছিল একটা ডুরিয়ান। এটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অতি পরিচিত একটি ফল। যেকোনো ফল স্বাদে তো বটেই, সুবাসেও প্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু ডুরিয়ান এমন এক ফল, যা কিনা তার কটু গন্ধের জন্যে রীতিমতো কুখ্যাত। এ কারণে নির্দিষ্ট স্থানে তা বহন নিষিদ্ধও করা হয়েছে। যেমন- সিঙ্গাপুরের সাবওয়ে সিস্টেমে এটা নিয়ে চলাফেরা বা রাখা পুরোপুরি নিষেধ। গ্রন্থাগারের কর্মীরা জানান, ফলটাকে সিল করা প্যাকেটে বের করে আনা হয়। এটা ভবনের বাসাস চলাচলের ফোকরের কাছে রাখা ছিল। যদিও এখানে ফল আনার অনুমতি দেয়া রয়েছে। কিন্তু এমন একটা ফল যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে আনা হয়ে থাকে তবে দায়ী বা দায়ীদের হিতাহিত জ্ঞানের অভাব রয়েছে। ২০১৮ সালে এমনই ঘটনা ঘটেছিল রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনলজিতে। সেখানকার গ্রন্থাগারে একটি পচা ডুরিয়ান রাখা হয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে ৫০০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।