আক্কাস আলী আর শওকত আলী। দুই বন্ধু হরিহর আত্মা যেন। এলাকায় কারো বাদ নেই বিষয়টি জানার। তারপরও চূড়ান্তভাবেই হয়তো জানিয়ে গেলেন তাঁরা সকালের মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে। আক্কাস আলী আহত হয়েছেন ট্রাকের ধাক্কায়।
তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধু শওকত। হাসপাতালে আক্কাসকে রেখে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হলো না তাঁর। কিংবা বাড়ি ফিরে পুনরায় যাওয়া হলো না হাসপাতালে বন্ধুর কাছে। বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই কানে এলো আক্কাসের মৃত্যু সংবাদ। সেখানেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় শওকতের। এক বন্ধুর মৃত্যুর খবরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আরেক বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) জোহরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন আক্কাস আলী। তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি ট্রাক ধাক্কা দেয় তাঁকে। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান তিনি। তাঁকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মধ্যরাতে মারা যান আক্কাস আলী। এদিকে, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্কাসকে রেখে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন শওকত। তিনি সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের তেঁতুলতলা বাজারে পৌঁছান। সেখানেই আক্কাসের মৃত্যুর খবর শোনেন। এরপর কোনোরকমে মায়াধরপুর গ্রামের মাঠে পৌঁছালে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শওকনের ভাতিজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা শাহেদ আহম্মেদ বিষয়টি জানিয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খাঁন জানান, লোকমুখে তিনি এ মৃত্যুর খবর শুনেছেন।